পদ্মা সেতু
২০ জুন ২০১২সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য ক্যানাডা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভিন'এর কাছে ১০ শতাংশ অর্থ কমিশন হিসেবে চেয়েছিলেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালী তিন জন৷
অর্থের অবৈধ লেনদেনের জন্য ক্যানাডা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর, এসএনসি লাভিন'এর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়েরে দু্হাইম এ তথ্য জানিয়েছে৷ আর বিশ্ব ব্যাংক সেই তথ্য সরবরাহ করেছে দুদক'কে৷ সেই তথ্য অনুযায়ী, যাঁরা কমিশন চেয়েছিলেন, তাঁরা হলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়া এবং সেতু প্রকল্পের সাবেক পরিচালক রফিকুল ইসলাম৷ তথ্য পাওয়ার পর দুদক পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে৷ তবে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেছেন, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য পুরোপুরি সঠিক নয়৷ কিন্তু কোনটা সঠিক তাও তিনি জানাননি৷
তাহলে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিদের নাম আসছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি কোনো পর্যায়ে দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে শীর্ষ ব্যক্তিদের দায় দায়িত্ব তো নিতেই হবে৷ তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যম নিশ্চয়ই তাদের কোনো তথ্য সূত্র থেকে এসব পেয়েছে৷
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, তারা সত্য উদঘাটনে আবার কাজ শুরু করেছেন৷ তদন্ত শেষ হলে প্রকৃত তথ্য জানাবেন৷
গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুদক তদন্ত শেষ করে বলেছিল, তারা পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি৷ কিন্তু বিশ্ব ব্যাংক নতুন করে তথ্য দেয়ায়, ফের তদন্তে নেমেছে তারা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ