গোপন
৮ জুন ২০১২সিপিডি মনে করে, প্রস্তাবিত বাজেটের আর্থিক কাঠামো ব্যাকরণ মেনে করা হয়েছে৷ আর বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাতসহ বেশ কিছু খাতে সরকারের ভুল স্বীকার করা হয়েছে, যা ইতিবাচক৷ কিন্তু এবারের বাজেটে যে ব্যাপক ঘাটতি দেখানো হয়েছে, তা কীভাবে মেটানো হবে সেটা স্পষ্ট নয়৷ ব্যাপক হারে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যদি এই ঘাটতি মেটানো হয়, তাহলে উৎপাদন কমবে, কমবে কর্মসংস্থান৷ দারিদ্র্য বাড়বে৷ আর তার ফলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নাও হতে পারে৷ জানালেন সিপিডির অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য৷
তিনি বলেন, বাজেটে অনেক বিষয় গোপন রাখা হয়েছে৷ কৃষি এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ভর্তুকি কমানো হয়েছে৷ মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর কর আরোপ করা হয়েছে৷ কালো টাকা সাদা করার ব্যাপারে কোন ব্যাখ্যা নেই৷ পদ্মা সেতু এবং আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি৷ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন, এই বাজেট ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়াবে৷
অন্যদিকে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সব ধরণের রফতানি পণ্যে উৎসে কর ০.৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১.২ শতাংশ করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে৷ বিজিএমইএ-এর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেছেন, এর ফলে সব ধরণের রফতানি পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক মার খাবে৷
এদিকে বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তব সম্মত৷ গেল বছরেও বিনিয়োগে স্থবিরতার মধ্যে প্রবৃদ্ধি ছিল আশাব্যাঞ্জক৷ আর আসছে বছরেও কাঙ্খিত ৭.২ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে৷ তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর ব্যয় থোক বরাদ্দ থেকে মেটানো হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন