নেকড়ে পর্যবেক্ষণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
১ আগস্ট ২০২৩তাদের একজন অলিভিয়ে স্ট্যালি৷ একটি বাক্স আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে নেকড়দের আরো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে সহায়তা করতে চান তিনি৷ স্ট্যালি বলেন, ‘‘ওয়াইল্ড-লাইফ-বক্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেকড়ের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারে৷ গর্জনের কারণে এটা সম্ভব হয়৷ তিন কিলোমিটারের বেশি দূর থেকে নেকড়ের গর্জন শোনা যায়৷ এভাবে আমরা একটা বড় এলাকার অবস্থা জানতে পারি৷ নেকড়ে গর্জন করলে এই বাক্স রিয়েল টাইমে রেঞ্জারকে তা জানিয়ে দেয়৷’’
স্ট্যালির ডিভাইস দিয়ে ৫০০ মিটারের মধ্যে নেকড়ের অবস্থান শনাক্ত করা যায়৷ ‘‘বর্তমানে ক্যামেরা ট্র্যাপের মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে নেকড়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে৷ কিন্তু নেকড়েরা এই পদ্ধতি এড়ানো শিখে গেছে৷ তারা ফ্ল্যাশ আর শব্দ পছন্দ করে না, তাই ক্যামেরা ট্র্যাপ কোথায় আছে, তা মনে রাখে, এবং সেগুলো এড়িয়ে চলে৷ আমাদের পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা নেকড়েদের যোগাযোগ শনাক্ত করে তাদের ফাঁদে ফেলতে চাই৷ এভাবে আমরা তথ্য সংগ্রহ করি,’’ বলেন তিনি৷
সুইজারল্যান্ডের লোজান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে মিলে এই ডিভাইস তৈরি করেছেন স্ট্যালি৷
মোবাইল যোগাযোগের মাধ্যমে শব্দগুলো সার্ভারে পাঠানো হয়৷ আর অডিও ফাইলগুলো ইমেজে পরিণত করা হয়৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইমেজগুলো পরীক্ষা করে সেগুলো নেকড়ের গর্জন কিনা, বোঝার চেষ্টা করে৷
রেঞ্জার মার্কো বানসার বলছেন, এই ডিভাইসের কারণে নেকড়ের হামলা ঠেকাতে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নেকড়ের পরিবারের উপর নজর রাখা যেতে পারে৷
স্ট্যালি বলছেন, সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি এলাকার কর্তৃপক্ষ ও ডাব্লিউডাব্লিউএফ তাদের ডিভাইসের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে৷ এটি শুধু ইউরোপের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে, এমন নয়৷ তিনি জানান, ‘‘আমাদের মনে হয়েছে, শুধু নেকড়ের মধ্যে থাকলেই চলবে না৷ তাই দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে হাতি, সিংহ ও হায়েনাদের ক্ষেত্রে আমরা এই ডিভাইস পরীক্ষা করে দেখেছি৷ দেখেছি, এটা সফল৷ নভেম্বরে আমরা ভারত যাব৷ সেখানে বাঘ, চিতাবাঘ আর বন্য কুকুরের ক্ষেত্রে এটি পরীক্ষা করে দেখবো৷’’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী রক্ষার কাজটি অনেক সহজ করে দিতে পারে৷
জেনিয়া ব্যার্টশমান/জেডএইচ