জার্মানিতে হয়ে গেল ‘হ্যালো রোবট’ প্রদর্শনী
৫ মে ২০২৩কিউরেটর ছিলেন অস্ট্রিয়ার আমালি ক্লাইন৷ তিনি বলেন, ‘‘পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার প্রায় সবকিছুতেই প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে৷ এটা অনেকটা রংয়ের স্তরের মতো৷ এটা হয়ে গেছে৷ এটা আর ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়৷ বোতল থেকে জ্বিন বেরিয়ে গেছে৷ তাই ব্যক্তি হিসেবে আমরা এবং সমাজ কীভাবে প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নেবো, তা খুঁজে বের করতে হবে৷''
বুদ্ধিমান যন্ত্র ছাড়া এখন শিল্পজগতের কথা ভাবাই যায় না৷ মানুষ ও রোবটের মধ্যে সম্পর্ক এখন ইউটোপিয়া ও ডিস্টোপিয়ার মধ্যে দুলছে৷ একদিকে প্রযুক্তির সাহায্যে উন্নত জীবনযাপনের আশা করা হচ্ছে, অন্যদিকে মানুষের কাজ হারানোর আশঙ্কাও রয়েছে৷
ক্লাইন বলেন, ‘‘একটা রোবট আছে যেটা মেনিফেস্টো লিখতে পারে - যার সম্পর্কে আমরা রাজনীতি বা আর্টের জগত থেকে জানি৷ এটা একটা বুদ্ধিভিত্তিক কাজ৷ কিন্তু এই রোবট আসলে বোকা৷ কারণ সে তিনটি ভাষা জানে; শব্দভান্ডার, গ্রামার আর সিন্টেক্স বোঝে, কিন্তু কী লিখছে সেটা সে বোঝে না৷''
অনেক মুভিতে কৃত্রিম মানুষকে তুলে ধরতে দেখা গেছে যারা দেখতে অনেকটা আমাদের মতো, কিন্তু আমাদের চেয়েও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন৷ মেট্রোপলিস থেকে শুরু করে ২০০১, ব্লেড রানার থেকে শুরু করে ম্যাট্রিক্স: এমন সব সায়েন্স ফিকশন ব্লকবাস্টার মুভিতে চলচ্চিত্র নির্মাতারা রোবট, অ্যান্ডরয়েড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি মানুষের মুগ্ধতা এবং একইসঙ্গে আশঙ্কার বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন৷
ক্লাইন বলেন, ‘‘পুপলার কালচারের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অনেককিছু আমাদের মাথায় ও মনে ঢুকে গেছে৷ এভাবে রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে আমাদের মনে একটা ছবি তৈরি হয়েছে৷ তাই আমরা যখন বাস্তবে রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দেখি, তখন হতাশ হই, কারণ বেশিরভাগ সময়ই মুভি বা বইয়ে পড়ার মতো তাদের চমকপ্রদ মনে হয় না৷''
কিন্তু মানুষের সৃজনশীলতা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে সীমানা কোথায়? যন্ত্র কি শেষ পর্যন্ত প্রযুক্তি জগতের সবশেষ রহস্য, আবেগ অনুভব করা ও তাকে শিল্পে পরিণত করতে সক্ষম হবে?
ক্রিস্টিন লেবার্ট/জেডএইচ