1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধূমপায়ীদের ভয় নেই!

৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩

‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ জেনেও অনেকে খুব একটা পাত্তা দেন না৷ ব্রিটেন একটা জরিপ চালিয়ে দেখেছে, সিগারেটের প্যাকেটে ধূমপানবিরোধী সতর্কতা-বার্তা লিখে খুব বেশি কাজ হয় না৷ বেশির ভাগ ধূমপায়ীই কিন্তু এগুলো পড়েই না৷

https://p.dw.com/p/19clV
Stylish retro woman smoking © Dmitry Fisher #11659208
ছবি: Fotolia.de

ব্রিটেনে প্রতিটি সিগারেটের প্যাকেটের সামনে-পেছনে, এমনকি ভেতরেও ধূমপানে নিরুৎসাহিত করার মতো তথ্য, সতর্কতা-বার্তা এবং ধূমপান কত ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে – তা বোঝানোর জন্য ছবি থাকে৷ সামনে লেখা থাকে ‘ধূমপান মৃত্যু ডেকে আনে' বা ‘ধূমপান আপনার এবং আপনার আশেপাশের সবার ভয়ংকর ক্ষতি করে' জাতীয় কিছু সতর্কতামূলক বার্তা৷ প্যাকেটের পেছনে লেখা থাকে ধূমপানের ক্ষতি বিষয়ক সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য৷ প্যাকেটের পেছনের কাগজের ভেতরের দিকে থাকে ধূমপানের কারণে পচে যাওয়া দাঁতের মাড়ি, ক্যানসারে আক্রান্ত ফুসফুস এবং ঘাড়ের ছবি৷ সব লেখা এবং ছবিরই উদ্দেশ্য কিন্তু মানুষকে ধূমপান থেকে বিরত রাখা৷ অথচ ব্রিটেনের ‘টোব্যাকো কন্ট্রোল' জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশেষ করে টিন-এজারদের মধ্যে এ ধরণের প্রয়াস যেভাবে যতটা প্রভাব বিস্তার করবে বলে আশা করা হচ্ছিল, ততটা ঠিক হচ্ছে না৷ তাদের কাছে যেটুকু মনযোগ প্যাকেটের সামনের দিক পায়, পেছনের দিক পায় তার চেয়ে কম আর ভেতরের ছবিগুলো কেউ বলতে গেলে দেখেই না!

২০০৮ এবং ২০১১ – এই দু'বছরে দুবার চালানো হয়েছিল জরিপটি৷ ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সি এক হাজারেরও বেশি কিশোর-কিশোরীর মধ্যে চালানো এই জরিপ থেকে বেরিয়ে এসেছে আজব কিছু তথ্য৷ ২০০৮ সালের ওই জরিপের সময় সিগারেটের প্যাকেটের সামনে আর পেছনের লেখাগুলোই শুধু ছিল৷ ২০১১ সালে প্যাকেটের ভেতরেও ছবি দেয়া শুরু হয়৷ দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেয়া দুই তৃতীয়াংশ থেকে তিন চতুর্থাংশ কিশোর-কিশোরী কখনো ধূমপান করেনি৷ ১৭ থেকে ২২ ভাগ কিশোর-কিশোরী শুধু অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য দু-একবার ধূমপান করেছে৷ আর শতকরা দশজন নাকি সপ্তাহে অন্তত একবার ধূমপান করে৷

epa03010219 A handout image released by the Australian Government Department for Health and Ageing on 17 September 2011 shows proposed health warnings for tobacco products on cigarette and other tobacco packaging. Cigarettes packs will come in plain green packets from December 2012 under anti-smoking legislation that took effect on 21 November 2011 in Australia. Brand imagery will be banished under a world-first initiative that removes the last public display of advertising for cigarettes. Branding will be in small writing underneath large and stark warnings of the damaging effects of smoking. Smoking, which is said to kill 15,000 Australians a year, has been under attack in Australia for almost 100 years. EPA/DEPARTMENT OF HEALTH AND AGEING AUSTRALIA AND NEW ZEALAND OUT HANDOUT EDITORIAL USE ONLY
এই ছবিগুলো যে ধূমপায়ীরা দেখেই না!ছবি: picture-alliance/dpa

তবে সতর্কতামূলক বার্তা এবং ছবির দিকে তাদের মনযোগের বাহার দেখে জরিপ পরিচালনাকারীরা অবাক৷ ২০০৮ সালে শতকরা ৫৮ জন ‘ধূমপান মৃত্যু ডেকে আনে' সতর্কতা-বার্তাটি মনে করে বলতে পেরেছিল৷ ‘ধূমপান আপনার এবং আপনার আশেপাশের সবার ভয়ংকর ক্ষতি করে' মনে ছিল শতকরা ৪১ জনের৷ ২০১১ সালে ওই কিশোর-কিশোরীদের অনেকের মন থেকে সেইটুকুও মুছে যায়৷ ‘ধূমপান মৃত্যু ডেকে আনে' কথাটি তখন মনে ছিল শতকরা ৪৭ জনের, আর ‘ধূমপান আপনার এবং আপনার আশেপাশের সবার ভয়ংকর ক্ষতি করে' মনে ছিল শতকরা মাত্র ২৫ জনের৷

স্বাভাবিকভাবেই, সিগারেটের প্যাকেটের পেছনের দিকে নজর তাদের গেছে কম৷ ভেতরের ছবিগুলো দেখেছে মাত্র শতকরা ১০ জন৷ নিয়মিত ধূমপায়ীদের অবস্থা আরো ভয়াবহ৷ তাদের কেউ কেউ তো এই সতর্কতামূলক বার্তা পড়েই না, ভেতরের ছবিগুলো ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করে বাড়তি খরচ করে৷ এক ধরণের প্যাকেট কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলোর সহায়তা নিয়ে মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেয়া ছবিগুলো তারা যে দেখেই না!

এসিবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য