‘দল টিকিয়ে রাখা স্বার্থেই নির্বাচনে গিয়েছে জাতীয় পার্টি’
২১ এপ্রিল ২০২৪ইউটিউবে ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে এবারের অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের৷ সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব নিয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি৷
আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে নিজেদের সবসময় উপস্থাপন করলেও তারাই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি বলে মন্তব্য করেন এই নেতা৷ জি এম কাদের বলেন, ‘‘তারা (আওয়ামী লীগ) বলে তারা স্বাধীনতার পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, এটা একটা ডাহা উল্টো কথা৷ আমি মনে করি তারা সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি৷’’
আওয়ামী লীগের শাসন ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের বদলে ‘স্বৈরতন্ত্রে’ পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘তারা এখন একটা কাল্ট হয়ে গেছে৷ তার এখন আর রাজনৈতিক দল নেই৷ কাল্ট মানে একটা নেতাভিত্তিক এবং কিছু রিচ্যুয়ালসভিত্তিক একটা সংগঠন, যাদের নেতার প্রতি কঠোর আনুগত্য থাকতে হয়৷...এটা তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে৷’’
ভারতের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে দিল্লির আশীর্বাদ জরুরি কিনা সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘‘বাংলাদেশে ভারতের ইন্টারেস্ট রয়েছে৷ সেটা নিরাপত্তা বিবেচনায়৷ আমাদের সাথেও তাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে৷ তবে তাদের সমর্থন ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না এটা সঠিক নয়৷’’
চলতি বছর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে না গেলে জাতীয় পার্টি ও আমি হারিয়ে যেতাম৷’’ যে কোনভাবেই নির্বাচন হয়ে যেত এমন ধারণা তিনি করেছেন বলে জানান৷
বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলে মনে করেন জি এম কাদের৷ তিনি বলেন বিএনপি যা করেছিল আওয়ামী লীগও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করছে৷
জাতীয় পার্টি কি এক নেতার এক দল হয়েই থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘‘সব দলই এক নেতার দল৷ আমরা বরং মহাসচিব পরিবর্তন করেছি৷’’
এসএইচ/এফএস