জার্মানিতে চার আল কায়েদা সমর্থকের কারাদণ্ড
১৪ নভেম্বর ২০১৪আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবীরা জানান, ৩৩ বছর বয়সি মরোক্কান আব্দেলাদিম এল-কে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে গিয়ে বিস্ফোরক তৈরি ও অস্ত্র চালানো শেখার পর জার্মানিতে ফিরে বোমা হামলার পরিকল্পনা করছিলেন৷ তার সঙ্গে আরো তিন জন ছিলেন৷ তারা সবাই আল কায়েদা সমর্থক৷ জার্মান মিডিয়া তাদের নাম দিয়েছে, ‘ড্যুসেলডর্ফ সেল৷'
২০১১ সালে, আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার ঠিক আগের দিন জার্মানির দুই শহর ড্যুসেলডর্ফ ও বোখুম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ বুধবার মামলার শুনানি শেষে জার্মান নাগরিকদের ওপর বোমা হামলার পরিকল্পনা করার অভিযোগে আব্দেলাদিমকে নয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ড্যুসেলডর্ফের আদালত৷ তার তিন সহযোগী জার্মান হালিল এস, ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান আমিদ সি এবং মরোক্কান বংশোদ্ভূত জার্মান জামিল এস-কে দেয়া হয়েছে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড৷
জার্মানিতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই৷ তাই ‘ড্যুসেলডর্ফ সেল'-এর নেতা আব্দেলাদিম এল-কে ভয়ঙ্কর এক হামলার প্রস্তুতি নেয়ার অভিযোগে নয় বছর এবং তার সঙ্গে থাকায় বাকিদের সাড়ে চার বছর করে কারা ভোগ করার আদেশ দিলো আদালত৷ গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে অপরাধীদের পূর্ণ নাম প্রকাশ করা হয়নি৷
আইনজীবীরা জানান, আব্দেলাদিম এবং তার তিন সঙ্গী বার্বিকিউ-এর ‘লাইটার' সংগ্রহ করে তা থেকে বিস্ফোরক তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন৷ বার্বিকিউ-এর সময় চুলায় আগুন জ্বালানোর কাজে যে লাইটার ব্যবহার করা হয় তাতে বোমা তৈরিতে কাজে লাগানোর মতো রাসায়নিক আছে – এ কথা জানার পর থেকেই চার জঙ্গি জার্মানির কোনো শহরের জনসমাবেশে নিজেদের তৈরি বোমা দিয়ে হামলা চালানোর পাঁয়তারা করছিলেন৷ হামলা চালানোর পর পুলিশ এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা এলে তাঁদের ওপর দ্বিতীয় দফা হামলা চালানোর পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করেছিলেন আব্দেলাদিম৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে ফেলায় ভয়াবহ এক হামলা থেকে বেঁচে যায় জার্মানি৷
ইসলামি জঙ্গিরা এ পর্যন্ত ইউরোপের একাধিক দেশে সন্ত্রাসি হামলা চালালেও জার্মানিতে এখনো সফল হয়নি৷ স্পেনের মাদ্রিদে ২০০৪ সালে এবং ব্রিটেনের লন্ডন শহরে ২০০৫ সালে বড় রকমের হামলা হওয়ার পর থেকে জার্মান গোয়েন্দারা বেশ সজাগ৷ গোয়েন্দারা মনে করেন, ইসলামি জঙ্গিদের ‘হিট লিস্ট'-এ জার্মানিও আছে৷
এসিবি/ এসবি (রয়টার্স, ডিপিএ)