1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান

১৩ জানুয়ারি ২০১৯

উত্তর-পূর্ব জার্মানির বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন পারিবারিক অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে এ অভিযানে অংশ নেন ১৩০০ পুলিশ সদস্য৷ শিসা বার, ক্যাফে এবং জুয়া খেলার আড্ডায় এ অভিযান চালানো হয়৷

https://p.dw.com/p/3BUAD
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Thissen

নর্থ-রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের ছয়টি শহরে একযোগে চালানো হয় এ অভিযান৷ শহরগুলো হচ্ছে- ডর্টমুন্ড, এসেন, ডুইসবুর্গ, বোখুম, রেকলিংহাউসেন এবং গেলসেনকির্শেন৷

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আরব বংশোদ্ভূত বিভিন্ন পরিবার জার্মানিতে নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে৷ জনপ্রিয় পত্রিকা বিল্ড জানিয়েছে এই অভিযানের মূল টার্গেট ছিল লেবানিজ বংশোদ্ভূত নাগরিকরা৷

স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৯টার দিকে একযোগে ছয়টি শহরে এ অভিযান শুরু হয়৷ রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র অলিভার পাইলার জানিয়েছেন, ‘‘আমরা বিশেষ করে শিসা বারে অভিযান চালিয়েছি৷ কারণ এই শিসা বারগুলো এসব অপরাধী চক্রের মূল আস্তানা হয়ে থাকে৷''

এসব শিসা বার অর্থ পাচার, অবৈধ জুয়া এবং অন্যান্য অবৈধ ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে৷ এসেন শহরের পুলিশ এক টুইটে জানিয়েছে, নগদ ৯০০০ ইউরোসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে তারা৷

তারা জানিয়েছে, ‘‘এই অর্থ যে বৈধ, তা প্রমাণ করতে হবে ঐ ব্যক্তিকে৷''

হাজার হাজার সদস্য

অভিযানে ঠিক কতজনকে আটক করা হয়েছে, বা কি পরিমাণ অবৈধ অর্থ উদ্ধার হয়েছে, তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি পুলিশ৷

অভিযানে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন দমকলকর্মী, রাজস্ব ও কর কর্মকর্তারাও৷ বিভিন্ন শহরে অভিযানের ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে৷

রাজ্যে প্রায় ৫০টি অপরাধী চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের৷ সব মিলিয়ে এসব চক্রে ১০ হাজারের মতো সদস্য রয়েছে বলেও জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী৷

এসব চক্র পতিতাবৃত্তি ও বিভিন্ন সহিংস কর্মকাণ্ড ছাড়াও নানা ধরনের জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ত৷

রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হার্বার্ট রয়েল বোখুম শহরে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বেআইনি কাজে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি আমরা দেখাচ্ছি৷ আমাদের আইন আমরা অপরাধীদের হাতে তুলে দেবো না৷''

ডার্কো জানিয়েভিচ/এডিকে

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান