1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থীদের হামলা ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ

৪ জানুয়ারি ২০১৯

জার্মানির আমব্যর্গ শহরে শরণার্থীদের হামলার ঘটনার পর সেখানকার ‘নিরাপত্তা' নিশ্চিত করতে নিজস্ব পাহারার ব্যবস্থা করেছে বলে জানিয়েছে ডানপন্থি রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনপিডি)৷

https://p.dw.com/p/3B2Sb
ছবি: facebook/@npdnuernberg

তবে পুলিশ বলছে শহরে এ ধরণের কোন নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি তাদের চোখে পড়েনি৷

কোন রাজনৈতিক দলে পক্ষ থেকে এ ধরণের নিরাপত্তা পাহারা বসানো অবৈধ উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘যদি এ ধরণের কাজে কেউ যুক্ত থাকে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে৷''

এনপিডি তাদের ফেসবুক পাতায় দলটির নিরাপত্তাবাহিনীর ছবি পোস্ট করেছে৷ ছবিতে দেখা গেছে লাল পোশাক পরিহিত একদল লোক আমব্যর্গ শহরের রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছেন৷ এ সময় তাঁদের জামায় ‘আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি' স্লোগান লেখা ছিল৷

দলটির একজন মুখপাত্র ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমব্যর্গ শহরে চার-পাঁচজন সদস্যের দু'টি দল শহরের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছে৷ তাঁদের উদ্দেশ্য হলো শহরের নিরাপত্তার বিষয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করা৷'' তিনি জানান, তাদের ‘নিরাপত্তা বাহিনীর' সদস্যদের কাছে কোন অস্ত্র ছিল না৷ তারা শুধু শহরের বিভিন্ন অংশে টহল দিচ্ছিল৷

এদিকে আমব্যর্গ পুলিশের মুখপাত্র টোমাস স্মিড ডয়চে ভেলেকে জানান, এনপিডি'র ফেসবুক পোস্টটির বিষয়টির দিকে তারা লক্ষ্য রাখছেন৷ পুলিশ রাস্তায় কাউকে এভাবে টহল দিতে দেখেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন কেউ যদি আইন নিজের হাতে তুলে নেয় তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে৷

এদিকে এনপিডি বলছে দেশের বিদ্যমান ‘স্বাধীভাবে চলাফেরার অধিকার' বিষয়ক আইন অনুযায়ী এ ধরণের কাজ তারা করতে পারে৷

গত শনিবার রাতে কয়েকজন শরণার্থী আমব্যর্গ শহরে পথচারীদের উপর হামলা চালায় এবং তাঁদেরকে লাঞ্ছিত করে৷ এ ঘটনায় ১২ জন আহত হয়েছে৷ আফগানিস্তান ও ইরান থেকে আসা এ শরণার্থীদের বয়স ১৭ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে যারা ঘটনার সময় কিছুটা মাতাল ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ তাদেরকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে৷

এ হামলার ঘটনা শরণার্থী বিষয়ে চলমান বিতর্ক আরো উস্কে দিয়েছে৷ জার্মানির কট্টর ডানপন্থি রাজনৈতিক দল অল্টার্নেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) ঐ হামলার ঘটনায় তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে৷ দলটির বাভারিয়া রাজ্যের সংসদীয় দলের নেতা কাটরিন এবনের-স্টাইনার বলেন, ‘‘এ ধরণের হামলা থেকে স্থানীয় জনগণকে রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত৷'' পাশাপাশি আশ্রয়ের আবেদন নাকচ হওয়া সব শরণার্থীকে দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিও জানিয়েছেন তিনি৷ 

চেজ ভিন্টার/আরআর