জনক হারানোর দিনটি স্মরণ করলো বাংলাদেশ
১৫ আগস্ট ২০১১১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে, তাঁর বাসভবনে৷ তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান৷ হত্যাকাণ্ডের সময় সেই বাড়িতে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আবাসিক সহকারি মোহিতুল ইসলাম৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, ঘাতকরা সেদিন বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র শেখ রাসেলকেও রেহাইই দেয়নি৷ আর সে সময়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির গৃহপরিচারক আব্দুর রহমান রমাও জানান সে দিনের ঐ নির্মমতার কথা৷
বঙ্গবন্ধুর ৩৬তম শাহাদাত বার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবসে আজ সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
এরপর শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা যান টুঙ্গিপাড়ায়৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এবং রাজনৈতিক নেতারা৷ সেখানে তাঁরা বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন৷ আয়োজন করা হয় দোয়া মাহফিলের৷
টুঙ্গিপাড়া এবং ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে সারাদিনই সব শ্রেনীর মানুষ শ্রদ্ধা জানান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে৷ দাবি জানান, বঙ্গবন্ধুর পলাতক ঘাতকদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করার৷ যেমন বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ে উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক৷ আর বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পিছনে ছিল গভীর ষড়যন্ত্র৷ এছাড়া, নেপথ্যের খলনায়কদের আজও চিহ্নিত করা হয়নি৷ তাই তাদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি৷
উল্লেখ্য, জাতীয় শেক দিবসে আজ সারা দেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়৷ দিনটি ছিল সরকারি ছুটির দিন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ