1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঙ্গি জাবেদের বাবা জানালেন তিনি জেএমবির বিরুদ্ধে

৪ অক্টোবর ২০২১

জেএমবি এর গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা জঙ্গি জাবেদ ইকবালকে কম বয়সে ‘ভুল বুঝিয়ে' সংগঠনে যুক্ত করার মূল্য এখন পুরো পরিবার বুঝতে পারছেন বলে জানালেন জঙ্গির বাবা৷

https://p.dw.com/p/41DpH
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/NurPhoto/Z. Chowdhury

ছেলের সাজা ঘোষণার দিনে চট্টগ্রামের আদালতে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুল আউয়াল৷ ছেলে বিপথে যাওয়ায় ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জঙ্গি জাবেদ ইকবালের বাবা বলেন, ‘‘আমি জেএমবির বিরুদ্ধে৷ আজীবন এসব জঙ্গিপন্থার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি৷ এটা ইসলাম নয়৷''

১৬ বছর আগে চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় বোমা হামলার দায়ে জেএমবির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমান্ডার জাবেদ ইকবালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত৷ মামলার অপর আসামি জেএমবির বোমা বিশেষজ্ঞ ভারতের কারাগারে বন্দি জাহিদুল ইসলাম মিজান ওরফে বোমা মিজানকে ফাঁসির সাজা দেয় চট্টগ্রামের সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল৷

রোববার রায় ঘোষণার পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ছেলের জঙ্গি কর্মকাণ্ডে হতাশ পিতা নিজের সন্তান এবং জেএমবি বিষয়ে কথা বলেন৷তিনি বলেন, ‘‘ছেলের জঙ্গিবাদে যুক্ত হওয়ায় পুরো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ চার সন্তানের মধ্যে জাবেদ দ্বিতীয়, লেখাপড়ায় মেধাবী ছিল৷ আমার স্বপ্ন ছিল সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে ভর্তি হয়েছিল৷আজ এর জন্য আমাদের পুরো পরিবার শেষ৷'' জাবেদ জেএমবিতে জড়িত হওয়ার সময় সঠিক মনে করতে না পারলেও তিনি বলেন, ‘‘তালেবান যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে তারপরই সে জেএমবিতে যুক্ত হয়৷ তখন ছিল হাইলি মোটিভেটেড ৷''  

২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে তল্লাশি চৌকির সামনে জেএমবি সদস্যদের এ বোমা হামলায় পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও শাহাবুদ্দিন নামে এক বিচারপ্রার্থী নিহত হন, আহত হন ১০ জন ৷ জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত জাবেদ এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ৷

জাবেদের বাবা মাদ্রাসা শিক্ষক আবদুল আউয়াল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে বলেন, ‘‘পুরোপুরি না বুঝে ১৯ বছর বয়সে সে জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে৷ এটা ইসলামের পথ না, এটা ভুল ৷ নিজেই অনুতপ্ত ৷ সে একটা স্টেটমেন্ট দিয়েছে দ্রুত বিচার আদালতে৷''

এ মামলার সাক্ষ্য চলাকালে প্রতিবার জাবেদের বাবা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন বলে বিডিনিউজকে জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার কামরুল হাসান ৷

এ মামলায় সাজা পাওয়ার আগেই চট্টগ্রামের ১৫টি ও কক্সবাজারের দুটি মামলায় জাবেদ ইকবাল মোট ২০৬ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে৷

চট্টগ্রামে সিরিজ বোমা হামলা, আদালত কক্ষে বোমা ও আদালত এলাকায় আত্মঘাতী বোমা হামলা এসব ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন জেএমবির সেসময়ের সামরিক কমান্ডার জাবেদ ইকবাল ওরফে মোহাম্মদ এবং বোমা কারিগর জাহিদুল ইসলাম মিজান ওরফে বোমা মিজান বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে৷

আদালতে বোমা হামলার আগে ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্টে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার দিনে চট্টগ্রামের ১৯ স্থানে বোমা হামলা করে জেএমবি, এতে আহত হয় ১০ জন৷ ওই ঘটনায় নগরীর আট থানায় হওয়া আটটি মামলার মধ্যে সাতটিতেই বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় জাবেদ ইকবালের ৷

এরপর ২০০৫ সালের ৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এবং মহানগর হাকিম আকরাম হোসেনের এজলাসে হামলা চালায় জেএমবি ৷ বই ও জ্যামিতি বক্সের ভিতরে রাখা বোমা ছোড়া হলেও তা বিস্ফোরিত না হওয়ায় কেউ হতাহত হয়নি ৷ তবে ওই ঘটনায় করা একটি মামলায় ২০০৮ সালে দেওয়া রায়ে জাবেদ ইকবাল ও বোমা মিজানসহ চার জঙ্গির প্রত্যেকের ২৬ বছর করে সাজা হয় ৷ এবং ২০১৭ সালের আরেক মামলায় এই দু'জনসহ তিন জঙ্গির ১৪ বছর করে সাজা হয় ৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান