1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলকাতায় আটক তিন জেএমবি জঙ্গি

১৩ জুলাই ২০২১

কলকাতায় বড়সড় নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। পুলিশের দাবি, আটক জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য মিলেছে।

https://p.dw.com/p/3wPAt
কলকাতা
ছবি: Payel Samanta/DW

আরো একটা অস্ত্র কারখানা তৈরির পরিকল্পনা ছিল জামাত জঙ্গিদের। সম্প্রতি কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া তিন জামাত জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাদের সঙ্গে আল-কায়দার যোগাযোগের বিষয়টিও স্পষ্ট হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির অফিসাররাও তাদের জেরা করতে পারে বলে পুলিশ সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে।

দক্ষিণ কলকাতা শহরতলির জমজমাট অঞ্চল হরিদেবপুর। গত কয়েকমাস ধরে চার জামাত জঙ্গি সেখানে গা ঢাকা দিয়েছিল বলে জানা গেছে। তারা ফেরিওয়ালা সেজে এলাকায় ঘুরে বেড়াত। কেউ ছাতা সারানোর কাজ করত, কেউ মশারি বিক্রি করত। স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসাররা খবর পেয়ে সেখানে তাদের নজরে রাখতে শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে পারে। ধৃতদের নাম নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফ, মিকাইল খান ওরফে শেখ সাবির এবং রবিউল ইসলাম। বছর আড়াই আগে কলকাতায় ঘাঁটি গাড়া জোসেফ। মিকাইল আছে বছরতিনেক। মাস দেড়েক আগে বসিরহাট সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকে রবিউল। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বোমা তৈরির কারখানা তৈরির পরিকল্পনা ছিল তাদের। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জেরায় নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে তিন ধৃত। সেলিম মুন্সি নামে আরো এক ব্যক্তি তাদের সঙ্গে ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। মনে করা হচ্ছে, শনিবার বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে সে। সেলিমই এই তিনজনকে পরিচালনা করত বলে ধৃত জঙ্গিরা জানিয়েছে।

এসটিএফ সূত্রে জানা গেছে, বছরকয়েক আগে জেএমবির ১৫ জনের একটি দল পশ্চিমবঙ্গে এসে গা ঢাকা দেয়। এরপর একটি দল চলে যায় জম্মু-কাশ্মীরে। ওড়িশাতেও কয়েকজন ঘাঁটি গেড়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুরো দলটির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কলকাতায় বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল বলে জঙ্গিরা জানিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

বছরকয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড় থেকে কয়েকজন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেখানেও একটি বড়সড় বোমা তৈরির কারখানা তারা তৈরি করেছিল। ওই একই মডেলে কলকাতার হরিদেবপুরে তারা বোমা তৈরির কারখানা তৈরি করছিল বলে পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)