চাপেও অনড় নেতানিয়াহু
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪দেশব্যাপী তার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পর এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, হামাসের সঙ্গে চলা পরোক্ষ আলোচনায় যুদ্ধ অবসানের দাবি মানতে ‘চাপের কাছে নতিস্বীকার করবেন না'৷ ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধ এখন এর প্রায় এক বছরের কাছাকাছি সময় ধরে চলছে৷
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক মাইরাভ জোনসাইন বলেছেন, নেতানিয়াহুর মন্তব্যে বোঝা গেছে ‘যতক্ষণ না হামাস আত্মসমর্পণ করে, তিনি যুদ্ধ বন্ধ করবেন না... এবং তিনি মূলত ঘোষণা করেছেন যে জিম্মি চুক্তি হবে না'৷
গাজা থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর শোকাহত ও ক্রুদ্ধ ইসরায়েলিরা বাকি বন্দিদের মুক্তির জন্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে রোববার ও সোমবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে৷
সামরিক বাহিনীর দাবি, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় বন্দি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া ছয় জিম্মিকে ইসরায়েলি সৈন্যরা খুঁজে পাওয়ার কিছুক্ষণ আগেই গুলি করে হত্যা করা হয়৷
নেতানিয়াহু তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘এই খুনিরা আমাদের জিম্মিদের মধ্যে ছয় জনকে হত্যা করেছে৷'' নিজের রাজনৈতিক লাভের জন্য যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার অভিযোগ রয়েছে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে৷
যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে সোমবার দেখা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ এরপর সাংবাদিকেরা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, নেতানিয়াহু জিম্মি চুক্তি সুরক্ষিত করার জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা৷ উত্তরে বাইডেন বলেন, ‘না'৷
ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোট টিকিয়ে রাখার জন্য নেতানিয়াহুকে নির্ভর করতে হচ্ছে যুদ্ধবিরতির বিরোধিতাকারী ডানপন্থিদের সমর্থনের ওপর৷ নেতানিয়াহু অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি যুদ্ধবিরতি চান, বরং হামাসই কোনো ছাড় দিতে চাচ্ছে না৷
নেতানিয়াহু আবার ‘হামাসের উপর সর্বোচ্চ চাপ' প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘যুদ্ধের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য' গাজা-মিশর সীমান্তে অবস্থিত ফিলাডেলফি করিডোরের নিয়ন্ত্রণ নেয়া প্রয়োজন৷
১৯৬৭ সালে গাজা উপত্যকা দখল করে ইসরায়েল এবং ২০০৫ সাল পর্যন্ত সেখানে সেনা ও বসতি স্থাপন করে৷ এরপর সেনা ও বসতি স্থাপনকারীদের প্রত্যাহার করা হলেও অবরোধ বজায় ছিল৷
সোমবার ইসরায়েলে কিছু অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করার কথা জানিয়েছে ব্রিটেন৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘনে এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে এমন ‘স্পষ্ট ঝুঁকি' থাকার কথা উল্লেখ করেছে দেশটি৷
এডিকে/জেডএইচ (এএফপি)