1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে ধর্মঘট

২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছয়জন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর ইসরায়েলে বিশাল প্রতিবাদ-বিক্ষাভ হয়েছে৷ সোমবার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ হামাসের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির জন্য চাপ বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/4kAIh
সরকার-বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে হাজারো মানুষ
সরকার-বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে হাজারো মানুষছবি: Jack GUEZ/AFP

গাজায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের হাতে জিম্মি ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধারের পর রোববার ইসরায়েল জুড়ে বিশাল সরকার-বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখা গেছে৷ হামাসের সঙ্গে অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে অবশিষ্ট পণবন্দিদের মুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার কারণে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে৷ ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী জেরুসালেম, তেল আভিভ ও অন্যান্য শহরে কমপক্ষে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ পথে নেমেছিলেন৷ জেরুসালেম শহরে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনেও মানুয বিক্ষোভ দেখিয়েছেন৷ শ্রমিক নেতারা সোমবার দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন৷

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমান অনুযায়ী, হামাসের কাছে এখনো ১০১ জন জিম্মি আটক রয়েছেন৷ তাদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সম্ভবত মারা গেছেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও একাধিক আঞ্চলিক শক্তির জোরালো উদ্যোগ সত্ত্বেও এখনো ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে অস্ত্রবিরতি ও পণবন্দিদের মুক্তির লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি৷ তারই মাঝে গাজার দক্ষিণে রাফা শহরের এক সুড়ঙ্গের মধ্যে ছয় জন পণবন্দির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার জের ধরে ইসরায়েলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ এক ফরেনসিক পরীক্ষা অনুযায়ী সন্ত্রাসবাদীরা তাদের খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেছে৷

দেশে-বিদেশে প্রবল চাপ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রায় ১১ মাস পরেওগাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছেন না৷ ইসরায়েলের উপর হামলা ও পণবন্দি নাটকের সব দায়িত্বপ্রাপ্তদের না ধরা পর্যন্ত তিনি কোনো বিরতির সম্ভাবনা দেখছেন না৷ তার মতে, যারা জিম্মিদের হত্যা করে তারা মোটেই কোনো রফা চায় না৷ উল্লেখ্য, নেতানিয়াহুর অবস্থানের বিরোধিতা করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টও হামাসের সঙ্গে বোঝাপড়ার পক্ষে সওয়াল করছেন৷

নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি জগত উত্তাল৷ বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন-ইসরায়েলি পণবন্দি গোল্ডবার্গ-পলিন ও অন্যান্যদের মৃত্যু সম্পর্কে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ বাইডেন বলেন, হামাসের নেতাদের এই অপরাধের মূল্য চোকাতে হবে৷ বাকি পণবন্দিদের মুক্তির লক্ষ্যে মার্কিন প্রশাসন অবিরাম কাজ করছে বলে তিনি আশ্বাস দেন৷ বাইডেন বলেন, তিনি এখনো অস্ত্রবিরতির সম্ভাবনা সম্পর্কে আশাবাদী৷ ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী, মার্কিন প্রশাসন হামাসের কাছে বোঝাপড়ার ‘শেষ সুযোগ' রাখতে চলেছে৷

হামাস অস্ত্রবিরতির ক্ষেত্রে বোঝাপড়ায় অস্বীকার করায় ইসরায়েলকেই পণবন্দিদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করছে৷ হামাসের কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কাছে এমন মন্তব্য করে বলেন, ইসরায়েলের মানুষকে নেতানিয়াহু ও বোঝাপড়ার মধ্যে কোনো একটিকে বেছে নিতে হবে৷ হামাসের প্রধান মধ্যস্থতাকারী খালিল আল-হাইয়া আল-জাজিরা টেলিভিশনকে বলেছেন, ইসরায়েল গাজা থেকে পুরোপুরি সরে না গেলে কোনোরকম বোঝাপড়া সম্ভব নয়৷

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য