খাবারের দাম বাড়ায় উদ্বেগ
১৪ মে ২০১১একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বিশ্বের জনসংখ্যা বিস্ফোরণ্মুখ৷ আর সে কারণেই খাদ্য বন্টনের দিকে জরুরিভাবে নজর দেওয়ার সময় এখনই৷ ড. প্যাট্রিক ওয়েব, খাদ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে কুড়ি বছরেরও বেশি সময় উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন ইউ এস এইড, বিশ্ব ব্যাংক, এফএও এবং ডব্লিউএইচও-তে৷ ড.ওয়েব টাফ্টস ইউনিভার্সিটির ডিন এবং ফ্রিডম্যান স্কুল অফ নিউট্রিশন সায়েন্স অ্যান্ড পলিসি-র অধ্যাপক৷ ভবিষ্যতে খাবার এবং পানির বরাদ্দ নিয়ে যে চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়েছে সেই সম্পর্কে তিনি কথা বলেছেন ডয়চে ভেলের সঙ্গে৷
২০১১ সালের অক্টোবরে বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ৭শ কোটিতে৷ তাদের সবার জন্যে খাবার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, ‘‘হ্যাঁ সম্ভব হবে৷ এর সব কিছুই সম্পদের বন্টনের ওপরে নির্ভর করবে৷ অতীতে অনেকেই বলেছেন, প্রত্যেককে খাওয়াবার জন্যে পৃথিবীতে যথেষ্ট খাবার আছে, যদি আমরা সেটা সমান ভাগে ভাগ করি৷ কিন্তু এটি আমার উত্তর নয়৷'' তিনি বলেন, ‘‘সম্পদ শুধু ৬.৫ বিলিয়ন মানুষের কাছ থেকেই আসছে না, আরো ৫'শ মিলিয়ন মানুষ রয়েছে যারা অত্যন্ত সম্পদশালী, রয়েছে শিল্পোন্নত দেশসমূহ, যারা বিশ্বের বেশিরভাগ সম্পদ ব্যবহার করছে৷ অবশ্যই আমাদেরকে উৎপাদনশীল হতে হবে৷ খাবার উৎপন্ন করতে হবে৷ কিন্তু পাশাপাশি আমাদেরকে একটা প্রশ্নের দিকে নজর দিতে হবে৷ সেটি হচ্ছে কীভাবে আমরা কম খাবার অপচয় করে চলতে পারি৷ খাবারের অপচয় রোধ করা গেলে ৭'শ কোটি মানুষকে খাওয়ানো কোন সমস্যাই হবে না৷''
লেসটার ব্রাউন, একজন মার্কিন পরিবেশবিদ৷ তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ফসল তোলার ক্ষেত্রে আমরা পুরোনো বিশৃঙ্খল পদ্ধতিতেই আটকে রয়েছি কিনা৷ এর উত্তরে ব্রাউন বললেন, আগে আমরা বিশৃঙ্খল পদ্ধতির অনেকটা কাছাকাছি ছিলাম৷ ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে ইউক্রেন, অস্ট্রেলিয়া এবং আর্জেন্টিনাতে ফসল উৎপাদন খুব খারাপ হয়েছিল আর তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল তেলের উচ্চ মূল্য৷ তেলের দাম সবসময়ে নির্ভর করে সারের দাম, খাবার বহনের ব্যয় এবং মার্কিন ডলারের মূল্যমানের ওপরে৷ তাই আমাদের যদি উৎপাদন খারাপ হয় তাহলে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়বে৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক