1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খতনা নিয়ে বিতর্ক

২৯ জুলাই ২০১২

চার বছরের এক বাচ্চার খতনা নিয়ে তোলপাড় তৈরি হয়েছে জার্মানিতে৷ আদালত যদিও এই খতনার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন৷ তবে ধর্মীয় নেতারা এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এর পক্ষেই বলছেন৷

https://p.dw.com/p/15g5s
ছবি: picture-alliance/dpa

রায়

মুসলমান ও ইহুদিরা তাদের ধর্মীয় আচারের অংশ হিসেবেই ছেলেদের খতনা করিয়ে থাকে৷ জার্মানিতে একটি চার বছরের ছেলের খতনা করানো নিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত৷ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের ভুলে ওই বাচ্চার পুরুষাঙ্গে অতিরিক্ত রক্তপাত হলে তা গড়ায় কোলন শহরের আদালত পর্যন্ত৷ আর আদালত এই খতনার বিরুদ্ধে রায় দিয়ে বলেন, বাচ্চার ধর্মীয় অধিকার রয়েছে, কিন্তু সেটা তার নিজের শরীরের অধিকারের চেয়ে বেশি নয়৷ অর্থাৎ বাবা-মার ইচ্ছায় এখন থেকে খতনা করা বন্ধ৷ আর যদি করাতেই হয় তাহলে ছেলে বড় হলে তার মতামত নিয়ে সেটা করতে হবে৷

হাস্যকর

এই রায়ের পর প্রতিবাদ জানিয়েছে জার্মানির প্রভাবশালী ইহুদি সম্প্রদায়৷ মুসলমানরাও এই রায়ের বিপক্ষে মত দিয়েছে৷ অন্যদিকে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেই দিয়েছেন, খতনা ইস্যু নিয়ে জার্মানি যেন হাসির পাত্র হয়ে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷ ইহুদিদের ধর্মীয় আচারের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখার কথা বলেন ম্যার্কেল৷ তবে কোলন আদালতের এই রায়ের প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য দেশেও৷ আর এখন সেটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন জার্মানির কর্তৃপক্ষ৷

Symbolbild religiöse Beschneidung
মুসলমান ও ইহুদিরা তাদের ধর্মীয় আচারের অংশ হিসেবেই ছেলেদের খতনা করিয়ে থাকে (প্রতীকী ছবি)ছবি: dapd

স্বাস্থ্য সুরক্ষা

চিকিৎসকদের মতে কিন্তু খতনাটা স্বাস্থ্যসম্মত৷ জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির প্যাথলজি ও মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ড. অ্যারন টোবিয়ান জানান, বাচ্চা বয়সে খতনার বেশ কিছু উপকার রয়েছে৷ তাই তিনি আগে থাকতেই এর পক্ষে মত দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ছেলে বড় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার আগেই দেখা যাবে সে যৌনকর্মে অভ্যস্ত হয়ে গেছে৷ তাই খতনার উপকারীতা থেকে সে বঞ্চিত হতে পারে৷ ড. অ্যারন টোবিয়ান আরও জানান, এইচআইভি সংক্রমন প্রতিরোধেও খতনা সহায়ক৷ তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ছেলেদের খতনার পক্ষে৷ উল্লেখ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, খতনা করা হলে এইচআইভি সংক্রমণের আশঙ্কা শতকরা ৬০ ভাগ কমে যায়৷ ড. টোবিয়ান জানান, খতনা হলে পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাও কমে ৩৫ শতাংশ৷ এই কারণে এটা নারী সঙ্গীর যৌনাঙ্গের জন্যও তুলনামুলক নিরাপদ বলে বিবেচ্য৷

প্রতিবেদন: জোয়ান ইম্পে / আরআই

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য