গত ডিসেম্বরে এই প্ল্যাটফর্মটি রিলিজ হওয়ার পর জানুয়ারি মাসেই তার ব্যবহারকারী ১০ কোটি ছাড়িয়ে যায়, যা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রেকর্ড৷ এত অল্প সময়ে আর কোনো প্ল্যাটফর্ম এত বেশি ব্যবহারকারী পায়নি!
কেন মানুষ পঙ্গপালের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে এই প্ল্যাটফর্মে? সেটা বলার আগে চলুন জেনে নিই, মানুষ কী, আর মানুষের ব্রেইন কিভাবে কাজ করে৷ আপনি যদি খুব ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করেন এবং ভাবেন মানুষ আসলে কী, তাহলে দেখবেন আপনার কাছে খুব পরিষ্কার একটি উত্তর আসবে আর সেটা হলো, আমাদের ব্রেইনটাই মানুষ! এই ব্রেইনের কারণেই আমরা প্রকৃতির অন্যান্য প্রাণীদের থেকে আলাদা৷ আবার মানুষের ভেতরও নানান ক্যাপাসিটির মানুষ হয় তার ব্রেইনের কারণে৷
একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে আরো সহজ হতে পারে৷ ধরুন, আজ ৩টি শিশুর জন্ম হয়েছে৷ প্রথম শিশুটিকে আপনি একটি বাড়িতে আটকে রেখে সেখানেই বড় করলেন৷ তাকে খাওয়া দিলেন, পোষাক দিলেন, কিন্তু আর কিছুই করলেন না; কারো সাথে তার যোগাযোগ নাই৷ দ্বিতীয় শিশুটিকে বাংলাদেশের কোনও একটি বস্তিতে রেখে এলেন৷ আর তৃতীয় শিশুটিকে উন্নত কোনো দেশে ভালো পরিবেশে লেখাপড়া এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা দিলেন৷ ৩০ বছর পর এই শিশুরা যখন প্রাপ্তবয়ষ্ক হবে, কার অবস্থা কী হবে?
প্রথম শিশুটির শারীরিক বৃদ্ধি হবে৷ কিন্তু সে এই দুনিয়া সম্পর্কে কোনো ধারণাই থাকবে না৷ সে হবে হাবাগোবা টাইপের৷ কারণ, বয়সের সাথে সাথে তার ব্রেইনের বয়স বাড়েনি, বিকাশ হয়নি৷ দ্বিতীয় শিশুটি ওই বস্তিতে থেকে খেয়ে- পড়ে বেঁচে যাবে, কিন্তু লেখাপড়া তেমনটা হবে না৷ সে বর্তমান বিশ্বের সাথে নিজেকে তৈরি করার মতো অবস্থানে থাকবে না৷ তার ব্রেইন ভিন্নভাবে বিকশিত হয়েছে৷ আর শেষের শিশুটি যে যোগ্যতা নিয়ে বড় হবে, তার চিন্তা, চেতনা, মনন, লজিক - সব কিছুই ভিন্ন হবে৷ তার ক্যাপাসিটি ভিন্ন হবে৷ এই ৩ জনের শারীরিক গঠন প্রায় একই রকম থাকলেও, তারা ভিন্ন ভিন্ন মানুষ হবে - তার একমাত্র কারণ হলো তাদের ব্রেইন ভিন্ন৷
একটি শিশুকে জন্মের পর থেকে আমরা তাকে যেমন পুষ্টিকর খাবার দেই, তেমনি তার মানসিক বৃদ্ধির জন্য অনেক বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ করাই৷ অনেক এক্সারসাইজের ভেতর দিয়ে তাকে যেতে হয়৷ স্কুলের সেই প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পার হয়ে বাকি জীবনে তাকে নানান জিনিস শিখতে হয়৷ এই শেখার কাজটি হয় কোথায়? মানুষের ব্রেইনে৷ ব্রেইন এই তথ্যগুলোকে প্রসেস করতে পারে৷ এবং একটি তথ্যকে অন্য আরেকটি তথ্যের সাথে জোড়া দিয়ে নতুন লজিক প্রয়োগ করতে পারে৷ তার ভিত্তিতেই সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে - কাকে ভালোবাসবে, আর কাকে চড় মারবে!
দেখবেন, মানুষ যখন বুড়ো হয়ে যায়, তার ব্রেইনটাও ধীরে ধীরে মরে যেতে থাকে৷ তখন মানুষটি একটি শিশুতে পরিণত হয়৷ তার লজিক কাজ করে না, ইমোশন নিয়ন্ত্রণে থাকে না, কিছুই মনে রাখতে পারে না, চারদিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে! সে তখন রক্ত মাংসের একটি পিন্ড ছাড়া আর কিছুই নয়!
২.
মানুষের ব্রেইন যেভাবে কাজ করে, কম্পিউটারকে বানানো হয়েছে সেভাবেই৷ তার কম্পিউট করার ক্ষমতা আছে, মেমোরি আছে, ষ্টোরেজ আছে৷ সেই স্টোরেজ থেকে ডাটা নিয়ে সে বিভিন্ন রকমের প্যাটার্ন বের করতে পারে৷ একটি ছোট শিশু যেমন তার মা'র মুখ দেখেই তাকে চিনে ফেলতে পারে, একজন প্রেমিক যেমন অন্ধকারে তার প্রেমিকার ঠোঁটের ঘ্রাণ শুঁকেই বলে দিতে পারে, কিংবা একজন বাবা তার সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়ে ওজন বলে দিতে পারে, ঠিক তেমনি একটি কম্পিউটার তার পুরোনো ডাটা থেকে প্যাটার্ন বের করে অনেক কিছুই অনুমান করতে পারে৷
দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ হচ্ছিল এই কম্পিউটারগুলোকে যতটা সম্ভব মানুষের ব্রেইনের কাছাকাছি নিয়ে আসার৷ চ্যাট-জিপিটি আসার পর মানুষ নিশ্চিত হতে পেরেছে যে, কম্পিউটার এখন মানুষের মতো করেই ডাটা প্রসেস করতে পারে৷ তাকে মানুষের সমকক্ষ বলা যাবে৷ বিজ্ঞানীরা এই প্রথম সেটা মেনে নিয়েছেন৷
এই কম্পিউটারগুলো মানুষের ব্রেইনের মতো ডাটা যেমন প্রসেস করতে পারছে, পাশাপাশি সে মানুষের মতো ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজও নিজেকে প্রকাশ করতে পারছে৷ আপনি এতদিন গুগলে গিয়ে কোনো টপিক দিয়ে সার্চ দিলে, গুগল আপনাকে অসংখ্য ওয়েবসাইট হাতে ধরিয়ে দিতো, আপনি সেগুলো থেকে ক্লিক করে করে তথ্য খুঁজে নিতেন৷ এখন সেটা পাল্টে গেল৷ আপনি রোবটকে যা জিজ্ঞেস করবেন, সে তার মতো গুছিয়ে সুন্দর করে উত্তরটা আপনাকে জানিয়ে দেবে৷ আপনি পাল্টা প্রশ্ন করবেন, সে আবার উত্তর দেবে৷ এইভাবে আপনি যদি একটি মেশিনের সাথে সারা দিন কথা বলেন, আপনার একবারও মনে হবে না যে, আপনি আসলে একটি মেশিনের সাথে কথা বলছেন৷ আপনার কাছে মনে হবে, আপনি আরেকটি মানুষের সাথে কথা বলছেন, চ্যাট করছেন৷
এর অর্থ দাঁড়ালো এই যে, বুদ্ধির দিক থেকে নতুন এই কম্পিউটারগুলো এখন মানুষের মতোই আচরণ করতে সক্ষমতা অর্জন করেছে৷ শিশুকাল পেরিয়ে সে যেন যুবক হয়েছে৷ তারও ম্যাচিউরিটি এসেছে৷
আর কম্পিউটার যেহেতু মানুষের মতো ব্রেইন পেয়ে বসেছে, তাহলে সে অনেক কিছুই করতে পারছে, যেগুলো মানুষের কাজের মতো! সে এখন কবিতা লিখতে পারছে, রচনা লিখতে পারছে, পরীক্ষার খাতার উত্তর দিতে পারছে, স্কুলের শিক্ষককে বোকা বানাতে পারছে, ডেটিং অ্যাপে বসে সম্ভাব্য প্রেমিকার সাথে অন্তরঙ্গ চ্যাট করতে পারছে (যেখানে অপরপক্ষ বুঝতেই পারবে না যে, সে তার আসল পার্টনারের সাথে চ্যাট করছে না), চাকরির জন্য ভালো রিজিউমি তৈরি করে রিক্রুটারকে বোকা বানাতে পারবে, পাসওয়ার্ড চুরির জন্য ফিশিং ই-মেইল পাঠাতে পারবে, এমনকি কম্পিউটার ভাইরাস লেখার মতো কাজও খুব নিখুঁতভাবে করে দিতে পারছে৷
সে এমন একটি কবিতা লিখে দিতে পারে, যা পড়ে আপনার প্রেমিকার মন গলে যাবে; সে এমন সুন্দর করে একটি রচনা লিখে দিতে পারে যা পড়ে শিক্ষক হা করে তাকিয়ে থাকবে, কিংবা সে এমন একটি বিজনেস পরিকল্পনা দেবে যা এমবিএ ক্লাসের শিক্ষকরাও দিতে পারবে না৷
এগুলো সবই হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খেলা৷ বর্তমান পৃথিবী সত্যিকার অর্থেই সেই দুনিয়ায় প্রবেশ করে গেল!
৩.
তাহলে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন আসে, ভবিষ্যতের পৃথিবীটা কেমন হতে যাচ্ছে? মানুষ কি তাহলে সত্যিই হয়ে যাবে মেশিনের দাস?
মানুষ কিন্তু এমনিতেই ধীরে ধীরে মেশিনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছিল৷ সেটা হুট করেই আজকে ঘটেনি৷ খুব বেশি দূরে গেলাম না, যখন থেকে মানুষ আধুনিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে শুরু করলো, তখন থেকেই তার ব্রেইনের অনেক কিছুই মেশিনকে দিয়ে দিতে শুরু করলো৷ এবং অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের ব্রেইনের চেয়ে মেশিন ভালো কাজ করে থাকে৷
চ্যাট-জিপিটি'র মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যখন আরো প্রসার হবে, তাতে বর্তমান পৃথিবীর অনেক কিছুই পাল্টে যাবে৷ আমি যখন এই লেখাটা তৈরি করছি, তখন ভাবছিলাম কোন কোন বিষয়গুলো সবচে বেশি পরিবর্তিত হবে৷ সেটা একটা জায়গায় লিখে রেখে আমি চ্যাট-জিপিটি-কেই এই প্রশ্নটা করেছিলাম৷ সে যা উত্তর দিলো সেটা এখানে লিখে দেই, তাহলেই বুঝতে পারবেন কী হতে যাচ্ছে৷
প্রশ্ন: কোন কোন ক্ষেত্রে চ্যাট-জিপিটি সবচেয়ে বেশি ইম্প্যাক্ট ফেলবে?
উত্তর: চ্যাট-জিপিটি এবং একই ধরনের অন্যান্য মডেলগুলো অনেকগুলো ক্ষেত্রে ভীষণ প্রভাব ফেলবে, যার ভেতর কয়েকটি হলো :
১. কাস্টমার সার্ভিস: চ্যাটবট দ্বারা পরিচালিত কাস্টমার সেবা ২৪ ঘণ্টাই চলতে পারবে; এবং তারা সকল ধরনের প্রশ্নোত্তর, সমস্যার সমাধান মানুষের চেয়ে ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারবে৷
লেখকের মন্তব্য: পৃথিবীর অনেক দেশের কাস্টমার সেবা এখন উন্নয়নশীল দেশ, যেমন ভারত, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন্স ইত্যাদি দেশগুলো থেকে দেয়া হয়৷ এই শিল্পটি পুরোপুরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছে চলে যাবে৷ এদেরকে নতুন করে চাকুরি খুঁজতে হবে৷)
২. নেচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (এনএলপি): চ্যাটজিপিটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মেশিন ট্র্যান্সলেশন, সারাংশ লেখা, সেন্টিমেন্ট অ্যানালাইসিস ইত্যাদি বিষয়গুলোর ওপর নতুন নতুন অ্যাপ তৈরি করা যাবে৷
লেখকের মন্তব্য: আমরা অনেকেই গুগল ট্র্যান্সলেশন ব্যবহার করে অনেক কিছু সহজেই করে ফেলি৷ এটা তার চেয়েও শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম৷ আপনি কোথাও ভ্রমণে গিয়েছেন, সেখানে পুরোমাত্রায় দোভাষীর কাজ করতে পারবে এই চ্যাটজিপিটিভিত্তিক নতুন অ্যাপগুলো৷ পাশাপাশি আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যত কমেন্ট করি, কোনটা ইতিবাচক কোনটা নেতিবাচক কিংবা গালি সেগুলো মেশিন এখনো ঠিকমতো বুঝতে পারে না৷ এই নতুন প্রযুক্তির ফলে সেগুলো আরো সহজতর হবে৷ তখন কারো বিরুদ্ধে গালি দিয়ে মন্তব্য দিলে মেশিনই বলে দেবে এটা গালি দেয়া হয়েছে৷
৩. কনটেন্ট তৈরি: আর্টিকেল, স্টোরি, কবিতা ইত্যাদির মতো টেক্সট কনটেন্ট তৈরি করতে পারবে চ্যাটজিপিটি৷
লেখকের মন্তব্য: এতে শিক্ষাখাত খুব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়বে৷ ধরুন, একটি ছাত্রকে গরু নিয়ে রচনা লিখতে দেয়া হলো৷ সে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে যে রচনা লিখে নিয়ে যাবে, সেটা বেশিরভাগ শিক্ষকই বুঝতে পারবেন না৷ হোমওয়ার্ক করা খুব সহজ হয়ে যাবে৷ এমনকি পরীক্ষাতেও এটা ব্যবহার করা হতে পারে৷ শিক্ষকরা যদি এই প্রযুক্তির সাথে পরিচিত না হন, তাহলে পুরো একটি জেনারেশন কিছু না পড়েই পাশ করে আসতে পারবে৷ পাশাপাশি নকল করে যারা বাচ্চাদের বই লিখেছিলেন, তাদের কাজও কমে যাবে৷ এরপর আর তাদেরকে নকলের দোষ দেয়া যাবে না৷
৪. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স: আপনার ব্যক্তিগত কাজ করার জন্য এবং তার সম্পর্কে রিকমান্ডেশন করার জন্য ভার্চুয়াল পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট তৈরির কাজে প্রভাব পড়বে৷
লেখকের মন্তব্য: ধরুন একজন মানুষ নিঃসঙ্গ৷ কিংবা বাসায় একা একা থাকেন৷ চ্যাটজিপিটিনির্ভর প্রযুক্তি তাকে সহায়তা দিতে পারে, তার সাথে সময় কাটাতে পারে, তার সাথে গল্প করতে পারে, এমনকি প্রযুক্তি এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে তার সাথে সেক্সও করতে পারে৷ আপনার মাইন্ড সে পড়তে পারবে৷ এবং সেভাবেই আপনাকে যাবতীয় বিষয়াদি সাজেশন দিতে পারবে৷
৫. স্বাস্থ্যসেবা: রোগীদের জন্য মেডিকেল তথ্য এবং সাপোর্ট প্রদান করা, সেবার মান বৃদ্ধি করার জন্য চ্যাটজিপিটি নির্ভর অ্যাপ তৈরি হবে৷
লেখকের মন্তব্য: স্বাস্থ্য সেবা খাতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে৷ এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মেশিন পৃথিবীর অনেক ডাক্তারের চেয়ে ভালো রোগী দেখে দিতে পারবে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে৷ রোগীদের কাছে যদি প্রযুক্তিগুলো সহজলভ্য করা যায়, তাহলে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হতে পারে৷
এগুলো তো গেল অল্প কিছু বিষয়, যেগুলোতে অনেক বেশি প্রভাব পড়বে বলে চ্যাটজিপিটি নিজেই মনে করছে৷ তবে এটা যেহেতু সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধি রাখে, তাই এর খারাপ ব্যবহারও কিন্তু অনেক বাড়বে৷ এই মেশিনগুলোকে খুব সহজেই মানুষকে ঠকানোর কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ এমন সব নতুন নতুন অ্যাপ তৈরি হবে যেগুলো আমাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাবও ফেলবে৷ এই পৃথিবীর সকল মানুষ যেমন ভালো নয়, তাই সকল রোবটও ভালো হবে এটা আশা করা ঠিক হবে না৷
এই পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা হলো ৮০০ কোটি৷ তাদেরকে সঠিকভাবে সেবা দিতে, তাদের জীবনের মান উন্নত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকল্প নেই৷ আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের জন্মের পর থেকেই এর ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠবে৷ তারা ভিন্ন ধরনের একটা জীবন যাপন করবে, যা এখানে লিখলে সায়েন্স ফিকশন মনে হতে পারে! আমরা আছি সেই দ্রুত পরিবর্তনের পথ চলার যাত্রী হয়ে!