চাকরিতে নিয়োগ, ছাঁটাইয়ে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা' ব্যবহার বাড়ছে
২৪ জানুয়ারি ২০২৩লন্ডনভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পিডাব্লিউসি ২০২২ সালে এক হাজার কোম্পানির উপর জরিপ পরিচালনা করেছিল৷ এসব কোম্পানির মধ্যে কেউ ছয়জনের মধ্যে একজন, আর কেউ চারজনের মধ্যে একজন কর্মীর নিয়োগে এআই ব্যবহার করেছে৷ এছাড়া প্রায় ৪০ শতাংশ নিয়োগ এআই ব্যবহার করে করা হয়েছে এমন কোম্পানিও আছে বলে জানিয়েছে পিডাব্লিউসি৷
শুধু নিয়োগ নয়, চাকরিতে যোগ দেয়ার পর একজন কর্মী কেমন কাজ করছে, তারও খবর রাখছে এআই৷
অ্যামাজন, ইউনিলিভারের মতো কোম্পানির জন্য কর্মী নিয়োগের কাজ করা মার্কিন কোম্পানি ‘হায়ারভিউ' বলছে, ভিডিও সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে তারা দ্রুত কর্মী নিয়োগ করতে পারে৷ এছাড়া এআই প্রযুক্তির কারণে নির্দিষ্ট বর্ণ ও লিঙ্গের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ এড়ানো সম্ভব৷
তবে গতবছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত এক জরিপ বলছে, এআই প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোবট নারী ও অশ্বেতাঙ্গদের প্রতি বর্ণবাদমূলক আচরণ করে৷
এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইকুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশন' কর্মক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের নীতিমালা প্রকাশ করেছে৷
একই বিষয়ে দুটি আইন করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ তারা বলছে, নাগরিক ও কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে লাভবান হতে পারে৷ তবে মৌলিক অধিকার ঝুঁকির মুখে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে মনে করে ইইউ৷
এআই প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় রোবটকে কীধরনের তথ্য দেয়া হচ্ছে তার উপর অনেককিছু নির্ভর করে৷ ইইউ যে আইন করছে সেখানে এই বিষয়ে নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে৷ এছাড়া এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় মানুষের সংশ্লিষ্টতা কতখানি থাকবে তাও আইনে নির্ধারণ করা থাকবে৷
কোনো কর্মী যদি মনে করেন তার বস এআই প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তার প্রতি অন্যায় করছে, সেক্ষেত্রে কর্মী কী করতে পারবেন, তা-ও আইনের আওতায় থাকবে৷
২০২২ সালের ছবিঘর
এলা জয়নার, ব্রাসেলস/জেডএইচ