1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা নিয়ে দিল্লি হয়ে মুম্বই পৌঁছালেন দক্ষিণ আফ্রিকার যাত্রী

২৯ নভেম্বর ২০২১

করোনার নতুন প্রজাতি নিয়ে ভারতের অ্যাডভাইসারি প্রকাশ। অথচ দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে আসা যাত্রী করোনা নিয়ে পৌঁছে গেলেন মুম্বই।

https://p.dw.com/p/43bq6
দিল্লি বিমানবন্দর
ছবি: Rishi Lekhi/AP/picture alliance

দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন ছড়াচ্ছে। সেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই গত ২৪ নভেম্বর ভারতে ফিরেছেন মুম্বইয়ের এক ৩২ বছরের বাসিন্দা। দিল্লি হয়ে তিনি মুম্বই পৌঁছেছেন। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে ভারতে এখনো করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখানো আবশ্যিক। বিমানবন্দরে কোভিড পরীক্ষাও করাতে হচ্ছে। অভিযোগ, দক্ষিণ আফ্রিকার ওই যাত্রীর কোভিড টেস্ট হওয়ার পরে ফলাফল আসার আগেই তাকে মুম্বইয়ের বিমানে উঠতে দেওয়া হয়। মুম্বই গিয়ে ওই যাত্রী জানতে পারেন, তার রিপোর্ট পজিটিভ। এর পর তিনি নিজেই বাড়িতে কোয়ারান্টিনে ছিলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার যাত্রীর রিপোর্ট পজিটিভ আসায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। স্থানীয় পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই যাত্রীকে কোয়ারান্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তার রিপোর্ট জিনোম টেস্টের জন্যও পাঠানো হয়েছে। এখনো জানা যায়নি তার শরীরে ওমিক্রন আছে কি না। প্রশাসন জানিয়েছে, ওই যাত্রীর সঙ্গে যারা বিমানে ছিলেন তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাদেরও পরীক্ষা করা হবে এবং প্রয়োজনে কোয়ারান্টিনে পাঠানো হবে।

প্রশ্ন উঠছে, কেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওই যাত্রীর রিপোর্ট আসার আগেই মুম্বইয়ের বিমানে উঠতে দেওয়া হলো। করোনার নতুন প্রজাতি দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়াচ্ছে জেনেও কেন এই গাফিলতি করা হলো?

ভারতে এখনো ওমিক্রন ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মেলেনি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরো অনেকেই গত কিছুদিনে ভারতে প্রবেশ করেছেন বলে জানা গেছে। তাদের ক্ষেত্রেও একইরকম গাফিলতি হয়েছে কি না, এ প্রশ্ন উঠছে।

সোমবার অবশ্য সরকার ওমিক্রন নিয়ে নতুন গাইডলাইন জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা অতি সংক্রমণের দেশ থেকে কোনো যাত্রী ভারতে এলে তাকে সঙ্গে করে করোনা নেগেটিভের সংশাপত্র আনতে হবে। একই সঙ্গে সেল্ফ ডিক্লারেশন ফর্মও পূরণ করতে হবে। বিমানবন্দরে ফের তার পরীক্ষা হবে। রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে বাইরে যাওয়ার অনুমতি তারা পাবেন। কিন্তু সাতদিন কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ এলে তা জিনোম টেস্টের জন্য পাঠানো হবে। যাত্রীকেও সরকার নির্দিষ্ট কোয়ারান্টিন সেন্টারে থাকতে হবে।

অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমিত দেশ থেকে এলে নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। বিমানবন্দরে সকলেরই করোনা পরীক্ষা হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে ওই দেশের নাগরিকদের আর কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে না। তবে রিপোর্ট পজিটিভ এলে সরকার চিহ্নিত সেন্টারে থাকতে হবে।

ডেল্টা ভাইরাসের প্রকোপ ভারত দেখেছে। ভয়াবহ সেই স্মৃতি মাথায় রেখে নতুন প্রজাতির ভাইরাস যাতে সংক্রমিত হতে না পারে, তার জন্য সকলের কাছে আবেদন করেছে প্রশাসন। বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক বক্তব্য, নতুন প্রজাতির ওমিক্রন ভাইরাস ডেল্টার চেয়েও দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, পিটিআই, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)