‘কমফোর্ট জোনে বসে সংবাদ সম্মেলন করেন শেখ হাসিনা’
৫ মে ২০২৪তিনি বলেন, ‘‘একটা ভেরি কমফোর্ট জোনে বসে যেই মানুষগুলো আপনার সামনে হাসি-হাসি মুখ করে বসে, প্রথম সারি, দ্বিতীয় সারি, তৃতীয় সারি, এরপরের সারি৷ প্রতিটি মুখের মধ্যেই তার বক্তব্য লেখা আছে৷ সেই লেখাটা আপনি, আমি যেমন পড়তে পারি, প্রধানমন্ত্রীও তেমন পড়তে পারেন৷ সুতরাং তিনি ভেরি কমফোর্ট জোনে বসে শুরু করেন তার যাত্রা৷’’
শুক্রবার ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশোতে এমন মন্তব্য করেন তিনি৷ ‘প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন ও মুক্ত গণমাধ্যম দিবস', এই শিরোনামে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনসহ বাংলাদেশের সাংবাদিকতা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এবারের পর্বে৷
অনুষ্ঠানে দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের এমিরিটাস এডিটর নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘আমাদের অনেক সিনিয়র সাংবাদিক সাংবাদিকতার জন্য গ্লানিকর কথাবার্তা বলে থাকেন৷ তিনি জানান, ‘এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বিরক্তিও প্রকাশ করে থাকেন৷
তার দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে যেকোনো বিষয়ে প্রশ্ন করা যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘অনেকে বলে যে, সেখানে সব প্রশ্ন করা যায় কিনা৷ আমি অনেস্টলি বলছি যেকোনো বিষয়ে প্রশ্ন করা যায়৷''
তিনি বলেন, তবে সেখানে সম্ভবত সবাই নানা কারণে সবরকম প্রশ্ন করতে চানা না৷ তাদের প্রস্তুতি থাকে না, আগ্রহ থাকে না, কারো স্বার্থ থাকে, সেল্ফ সেন্সরশিপ থাকে৷
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেলায় এটি একটি নিশ্চিত জায়গা যে তিনি কথা বলতে চান৷ নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করলে প্রেসিডেন্ট সব প্রশ্নের জবাব দেন না৷ কিন্তু আমি বরং মনে করি প্রধারমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে থাকেন৷’’
বাংলাদেশের এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আরো বলেন, জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে তীক্ষ্ণ প্রশ্ন করা হয় না কারণ প্রধান বিরোধী দল সংসদে নেই৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা এমন প্রশ্ন কার কাছ থেকে আশা করবো? বিএনপি যেদিন রাজনীতি করবে, সংসদে থাকবে বিরোধী দল হিসেবে বা সরকার হিসেবে প্রতিপক্ষ হিসেবে যেদিন শক্তিশালী থাকবে তখন এ ধরনের প্রশ্ন আসবে৷’’
আর বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা বলেন, ভুয়া তথ্য থেকে বেরিয়ে আসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো মুক্ত গণমাধ্যম৷ গণমাধ্যম কাজ করতে পারলেভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
আরআর/এফএস