বোধ ও বুদ্ধির শাণিত আয়োজনে মানুষ উঠে যেতে পারে অন্ধত্বের ঊর্দ্ধে৷ বিশ্বাস হয়ত হয়ে উঠে অন্ধত্বের নামান্তর৷ জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলনে মানুষ অস্বীকার করতে পারে যুগান্তরের সংস্কার৷ অতিক্রম করতে পারে কুসংস্কার৷ কিন্তু যে সংস্কৃতি তার আনন্দের উৎস হয়ে মিশে যায় স্মৃতিতে- সত্তায়, তার ডাক অতিক্রম করলে সে আর সে থাকে না৷
উৎসবের সে গন্ধে আত্মীয় পরিজনের সম্মিলন থাকে,ঘি পাঁচ ফোঁড়নে মুগভাজা খিচুড়ির ঘুর্ণায়মান ধোঁয়া থাকে, নতুন কাপড়ের পাটভাঙা আনন্দ থাকে, থাকে দৌড়ে দৌড়ে দর্জির দোকানে যাওয়া পরিব্রাজক রোমাঞ্চ, মণ্ডপে বাঁধা মাইকে লতা মঙ্গেশকর,‘গাছের পাতায় রোদের ঝিকিমিকি...'র নস্টালজিয়া, মণ্ডপের সামনে খেলনা ওয়ালার পসরা, গোল দশ পয়সা আর চারকোণা পাঁচ পয়সার শ্লাঘা, থাকে রুটিন-বাধা দিনযাপন থেকে মুক্তি...৷
শরৎ আর পুজোর সম্পর্কটা সনাতন বাঙালির কাছে বিন্দুর সাথে বৃত্তের সম্পর্কের মতো৷ গ্রীষ্মের শেষে বর্ষা, বর্ষার শেষে শরৎ৷ এইসব পরিবেশ বিপর্যয়, কার্বন মনোক্সাইড, ওজোন স্তরের ফুটো, সূর্যের তাপ বৃদ্ধিজনিত কারণে মেরুর বরফ গলা আর সমুদ্রপৃষ্ঠের জলের উচ্চতা বৃদ্ধি এখনো পুরোপুরি আধিপত্য বিস্তার করে বসেনি শরতের পেঁজা তুলো মেঘে৷ শরৎ তবু চলে আসে গলিপথ ঘুরে ঘুরে আর আসে শরৎ ঋতুকে ঘিরে আনন্দের আবর্তন৷ আনন্দের অসংখ্য মুহূর্তের কাছে ফিরে ফিরে আসা৷ ভাদ্রের তালপাকা গরম থেকে শেষ আশ্বিনে কচি দুর্বাঘাসে হিরকখণ্ডের মতো শিশিরকণা৷ শিউলি ঝরে পড়া ভোর, ধূপের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন সন্ধ্যা৷ ঢাকের শব্দ আর ধুনচিনৃত্য৷ কলাবঊ আর কর্পূরে আগুরে ফল-ফলাদির নৈবেদ্য এসবের আবেদন অনস্বীকার্য তাদের কাছে, যারা জন্ম থেকে বেড়ে উঠেছে এই সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে৷ জন্মের গন্ধের মতো শরীরে লেগে থাকা এ সংস্কৃতি, বাতাস বলে শরৎ এসেছে৷ এসেছে দেবীপক্ষ, দশভুজার অকাল বোধনের ক্ষণ৷
তখনও টিপ-বিতর্ক, পোশাক-বিতর্ক কিংবা সাম্প্রদায়িকতার উগ্রতা সকল শ্লীলতা গ্রাস করেনি৷ হিন্দুরা তখনও ‘সংখ্যালঘু’ অভিধায় ভূষিত হয়নি৷ বসতবাড়ি দখল আর ভোটের রাজনীতি মহামারির মতো উসকে উঠেনি৷ আমাদের অনটনতাড়িত পরিবারে পুজো লাগতো মহালয়ার দিনে৷ বীরেন্দ্র কিশোর ভদ্রের ‘ইয়া দেবি সর্বভূতেষু...'র সুর রক্তে যে আনন্দের নাচন তুলতো তার সাথে জড়িয়ে ছিল অনেক অনুষঙ্গ৷ টিমটিমে রোড লাইট জ্বলা শহরে যেখানে সন্ধ্যা হলেই ঝুপঝাপ নেমে আসা নীরবতায় শহরের হাতে গোণা দুয়েকটা কাপড়ের দোকান, গজ কাপড়, খড়ের কাঠামোতে মাটির লেপে ফুটে উঠা দেবীর অবয়ব, শরতের দেবীপক্ষে দশভুজা দেবীর আবাহন৷
অকাল বোধনে এই যে শারদীয় দুর্গোৎসব, তা একান্তই বাঙালি হিন্দুদের উৎসব৷ তার উৎস, বিস্তার কিংবা স্থিতি নিয়ে বিস্তর মত এবং মতপার্থক্য রয়েছে, গবেষণাও অঢেল৷ বিষয় হলো, যেভাবেই হোক,রামের অকাল বোধনের এই আয়োজনটি বাঙালি হিন্দুর প্রধানতম উৎসব হয়ে উঠেছে৷ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুর্গোৎসব সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদা পেয়েছে৷ দুর্গাপূজার প্রচলন নিয়ে যতগুলো তত্ত্ব আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের জমিদার উদ্যোগে প্রথম দুর্গাপূজা হয় এই পূর্ববাংলায়৷ কলকাতা প্রবাসী আমার মামা বলতেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বাঁচে পূজার জন্য৷ এক দুর্গাপূজা থেকে আরেক দুর্গাপূজা৷ পূজা ঘিরে ওদের জীবনযাপন৷ অথচ এই বাংলায় দেবী পরবাসী৷ লোক পুরাণে দেবী কৈলাস থেকে মর্ত্যে আসেন পিত্রালয়ে৷ এই পিত্রালয়ে অনাদর অবহেলা তার৷ বাঙালি হিন্দুদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব৷ কিন্তু আমার বেড়ে উঠার কালে, বড় হওয়ার কালে আমি কোনো নির্বিঘ্ন উৎসব পাইনি৷ সেই ছোটবেলা থেকেই উৎসব ঘিরে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা৷ তখন সদ্য স্বাধীন দেশ৷ উদার অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষভাবে যাত্রা শুরু করা এক স্বাধীন দেশের প্রথম দশকেই আমার বুঝতে শেখা৷ শেখার সে প্রাথমিককালেই দেখা এই উৎসব ঘিরে চাপা আতঙ্ক আর কুণ্ঠা৷
দেবীর বোধন হচ্ছে, ঢাক বাজছে, প্রকৃতির নিয়মে ঝরে পড়া শিউলিতে সেজে উঠছে উঠান৷ সেজে উঠছে বারোয়ারি পূজার প্যান্ডেল৷ কিন্তু এক সংখ্যালঘু পরিবারের আবহে কখনোই শুনিনি পরিবেশ নির্বিঘ্ন, আয়োজন নিরঙ্কুশ আনন্দময়৷
তবু ঢাকঢাক গুড়গুড় কুণ্ঠা আর আতঙ্ক নিয়ে পূজা হতো উৎসবেরই আবহে৷ তখনও সব কিছু ভেঙে পড়েনি৷ আড়াল আবডাল, শালীনতা, সম্মান আর সম্প্রীতির আড়াল বিদ্যমান ছিল৷
এইসব আতঙ্ক কুণ্ঠা যে কেবলই উত্তরাধিকারের ট্রমা তা আমি সত্যিকার অর্থে উপলব্ধি করলাম এবার৷ দেশভাগের পূর্ববর্তী আর পরবর্তী তাণ্ডবের ট্রমা৷ আমাদের পূর্বপুরুষেরা জীবদ্দশায় আজীবন মুক্তি পাননি যে ট্রমা থেকে, আমরা তার দশকের পর দশক পার করে ভেবেছিলাম হয়ত পৌঁছাতে যাচ্ছি কোনো উন্নত বোধের সমাজে৷ নাইন ইলেভেন,আফগানিস্তানের বৌদ্ধ ভাস্কর্য ধ্বংস, গাজা উপত্যকা জুড়ে হত্যালীলা গত তিন দশকের বৈশ্বিক বাস্তবতার নানা ঘটনা উপঘটনা ক্রমে ক্রমে ভেঙে দিচ্ছিলো সেই বিশ্বাস৷ কিন্তু তখনো আগুনের আঁচ নিজের গায়ে লাগেনি বলেই বোধহয় যন্ত্রণাও বুঝিনি ভুক্তভোগীর মতো৷
গতবছর যখন হনুমানের পায়ে কোরান শরীফ রাখার সূত্র ধরে দেশে প্রতিমা ভাঙার ‘উৎসব’ শুরু হলো আমি সোচ্চার ছিলাম প্রতিবাদে৷ হ্যাঁ, একটু বেশিই ছিলাম, কারণ, সারা শহরের পূজা মণ্ডপগুলো ডুবে ছিল অপমানের অন্ধকারে, যা একেবারেই অচেনা অভিজ্ঞতা আমার কাছে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে তাণ্ডবের ছবি আর ভিডিও ক্লিপ্স হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিবারগুলোকে ঢেকে দিয়েছিল গভীর বিষাদে৷ পরিবারে পরিবারে বয়স্কদের কপালের বলিরেখায় ঘনীভূত হয়েছিল অনিশ্চিত অন্ধকার, প্রতিটি হিন্দু পরিবার আতঙ্কে আর যন্ত্রণায় সেই ৪৭ এর মত নিজেদের ভেবেছিল নিজ ভূমে পরবাসী৷ সেদিন আমার ছেলে-মেয়েকে অনুমতি দেইনি মহা অষ্টমীর দিনে মণ্ডপ দর্শনে৷ বালিশে মুখ গুঁজে ওরা যখন কাঁদছিল, আমার কেবলই মনে হচ্ছিল পরিস্থিতি কখনোই বিশেষ ভালো না থাকলেও আমাকে তো আমার অর্ধশতকের জীবনে এভাবে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে হয়নি!
হিন্দু ঘরে জন্ম বলে নয়৷ যে কোনো নির্যাতিতের পক্ষে, উৎপীড়িতের পক্ষে আমার কলম ও কণ্ঠ সব সময় সোচ্চার৷ সিরিয়ার শিশু আয়লানের ছবি আমার প্রোফাইলে ছিল অনেকদিন৷ অনেকদিন ছিলেন নিউজিল্যান্ডে মসজিদের সামনে গুলিতে নিহত হিজাব পরিহিত নারীদ্বয়৷ গাজা-ইরাক নিয়ে আমি রাস্তায় দাঁড়িয়েছি৷ আমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যালবাম জুড়ে তাদের রক্তাক্ত ছবি৷ আমি অসাম্প্রদায়িকতা ধারণ করি৷ কিন্তু যখনই দেবী দুর্গার ভাঙা প্রতিমা প্রোফাইলে ঝুলিয়েছি, তখনই আমাকে ‘হিন্দু সাম্প্রদায়িক’ তকমা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে৷ দলে দলে মানুষ তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷ হুমকি-ধামকি কিছুই বাদ যায়নি৷ আম জনতার শতকরা কয় ভাগ এরা? আমি হিসাব করতে পারিনি৷ এই মানসিক ট্রমার সময়টাতে আমি সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছি সো-কল্ড প্রগতিশীল বন্ধুদের মুখোশ খুলে পড়া চেহারা দেখে৷ তাদের বিনীত প্রশ্নের আড়ালে আবিষ্কার করেছি ভয়াবহ বৌদ্ধিক সাম্প্রদায়িকতা৷
তাদের প্রশ্ন ছিল- আমি কেন পবিত্র কোরান শরীফের অবমাননা নিয়ে সোচ্চার নই? একতরফা কেবল মূর্তি ভাঙার কথা বলছি?
আমি বিস্মিত হয়েছি এই ভেবে যে, তারা বিশ্বাস করে আসলেই কোনো ধর্মপ্রাণ হিন্দু ইসলাম ধর্মকে অবমাননার জন্য পবিত্র কোরান শরিফ হনুমানের পায়ে রেখে আসতে পারে! পরে যদিও আসামি ইকবাল ধরা পড়ার পর এদের মুখ ছিল কুলুপ আঁটা৷ আমার তাদের কাছে জানার ছিল, কোন যুক্তিতে এটা তারা বিশ্বাস করে? ধর্ম-বিশ্বাস কিংবা সংখ্যাগত অবস্থানের ভীতি কোনোটিই তো তার এমন কাজের অনুকূলে নয়! প্রশ্নটা কাউকে করিনি৷
দ্বিতীয়ত, তাদের প্রশ্ন ছিল- আমি কেন প্রোফাইলে ভাঙা মূর্তি রেখেছি, আমার তো কিছুই হয়নি, আমার শহরে তো কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, মূর্তি ভাঙা হয়নি৷
অর্থাৎ, তারা ভাবে কেবল নিজে আক্রান্ত হলেই প্রতিবাদ করার অধিকার জন্মায়৷ আমার তাদের কাছে জানার ছিল- নির্যাতিত, নিপীড়িত কিংবা নিজ সমাজের প্রতি অন্যায় হলে কতটুকু প্রতিবাদ করবো কতোটুকু করবো না সেব্যাপারে কি সিলেক্টিভ হতে হয়? এ প্রশ্নটা কাউকে করিনি৷
তৃতীয়ত, তাদের বক্তব্য ছিল, আমি লেখক, লেখালেখি আমার কাজ৷ এসব প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া আমার কাজ নয়৷ রাজনীতিবিদদের কাজ৷ এতে পাঠকপ্রিয়তা কমে যায়৷ আমার তাদের কাছে জানার ছিল- লেখক কি রাজনীতির ঊর্দ্ধে? রাজনীতির ঊর্দ্ধে কি সমাজের কেউ? লেখক কি রাজনৈতিক নিরেপেক্ষ অবস্থান? এটা কি যৌক্তিক, নাকি উচিত? এই প্রশ্নটাও গিলে ফেলেছি৷
চতুর্থত, তারা বলতে চেয়েছে, আমার পাশে দাঁড়ানো মুসলিম বন্ধুর সংখ্যাও কি নেই যে গুটিকয়েক বিচ্ছিন্ন ভাঙাভাঙিকে বড় করে দেখছি? আছে, নিশ্চয়ই আছে৷ বন্ধু বন্ধুর পাশে আছে, স্বজন স্বজনের পাশে আছে৷ মানুষ মানুষের পাশে আছে, সেই মানুষই তো কাম্য আমাদের৷ আমার জানার ছিল- কেন সেই কাম্য পরিবেশটুকু এভাবে বিলীন হচ্ছে আমাদের সমাজে?
না, আমি এদের কাউকে এসবপ্রসঙ্গে কোন কথা বলিনি৷ মূলত আমার বিস্ময় ছিল এ পর্যায়ের যে প্রশ্নগুলো করা অর্থহীন ঠেকেছে৷ বরং বলা বাহুল্য, আমি অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছি৷ আমি বুঝে গেছি, আমাদের জন্য দাঁড়ানোর জায়গা খুব সীমিত হয়ে গেছে৷
আমি মূর্তি ভাঙার মহোৎসবের ভিডিও ক্লিপ্সগুলো দেখছিলাম আর বিষন্ন হচ্ছিলাম বারবার৷ মূর্তি ভাঙার উন্মত্ততায় যতটা নয় তার চেয়ে অনেক বেশি এই ভাঙার উৎসবে মত্ত ছেলেদের বয়স বিবেচনায়৷ যাদের আমরা তরুণ বলি, যে বয়সটাকে চিহ্নিত করি তারুণ্যের শক্তি হিসাবে, যে বয়সটা ভাষা আন্দোলন করেছে, যে বয়সটা মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যে বয়সটাকে সামনে দেখলে অসহায় শক্তি আর সাহস পায়৷
এরাই দলে দলে বিকৃত উল্লাসে গুড়িয়ে দিচ্ছে প্রতিবেশীর বিশ্বাস আর ভরসা৷ আচ্ছা এরা কি এই বীভৎস মানসিকতা নিয়েই জন্মেছে? নিশ্চয়ই না৷ মূলতঃ এদের অভিভাবকরা নষ্ট হয়েছে আগে, নষ্ট হয়েছে শিক্ষা আর শিক্ষাব্যবস্থা৷ স্বাধীনতাত্তোর রাজনৈতিক পচনের ছায়া পড়েছে পরপর কয়েকটি প্রজন্মে৷ পরিবার থেকে, সমাজ থেকে, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠান থেকে তারা এই হীনতা বহন করে ছড়িয়ে দিচ্ছে পুরো রাষ্ট্রে৷ আর তারই পরিণতি দেখছে বাংলাদেশ মূর্তি ভাঙার উৎসবে৷ এই পরিস্থিতি দিনে দিনে তিল তিল করে তৈরি করেছে আমাদের স্বার্থান্বেষী, লোভী আর ভোগী রাজনীতি৷
এ বছর শুনছি শারদীয় উৎসব আসার আগেই নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে৷ না, যারা ভাঙে, তাদের প্রতি কোনো হুঁশিয়ার বাণী উচ্চারণ করা হয়নি৷ বরং এ নিয়ে কোনো প্রোপাগান্ডা হয় কিনা তাদের কঠোর নজরদারিতে আনা হয়েছে৷ হয়ত সুফল মিলবে৷ হয়তো এ বছর আর মূর্তি ভাঙা হবে না৷ কিন্তু যে অনিশ্চয়তা সংখ্যালঘুদের অস্তিত্বের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে তা কি আর ভরসায় বিবর্তিত হবে? আমার সন্তানেরা কি আজীবন এই ট্রমা থেকে বের হয়ে আসতে পারবে?
আমাদের উৎসব ছিনতাই হয়ে গেছে৷ রাজনীতির পচা গলা ডোবায় তা এখন কেবলই যেনো নিয়মরক্ষা৷