আরবি পোশাক, কপালে টিপ সবই চলুক
২ জানুয়ারি ২০২০আসুন আমরা একটা একটা করে প্রশ্ন বা প্রস্তাবগুলো দেখি৷ কুয়েট-এর একটি বিভাগের ছেলেরা ঠিক করল, সবাই মিলে আরবের পোশাক পরবে, আরেকটি বিভাগের সবাই পরবে তামিল পোশাক৷ ছবি দেখে যা বুঝলাম আরো অন্তত দুই প্রকার পোশাক পরে তারা শিক্ষাজীবনের শেষ দিন উদযাপন করেছে৷৷
প্রশ্ন হচ্ছে, কেন তারা আরব পোশাক পরলেন? সংস্কৃতির দোহাই তুলে যারা প্রশ্ন করছেন তাদেরও পশ্চিমা পোশাকেই দেখতে পাচ্ছি৷ বোঝা যাচ্ছে, পশ্চিমা পোশাক নিয়ে আমাদের অসুবিধা নেই, আমাদের সংকট আরবীয় পোশাকে৷ কিন্তু কেন? প্রিয় কাওসার শাকিল ফেসবুকে বলছেন, আমরাও কী তবে পশ্চিম থেকে ইসলামোফোবিয়া আমদানী করলাম?
আরেকদিকে একথা সত্য বিশ্বজুড়ে নানা ধরনের সন্ত্রাসে আরবেরা অংশ নিয়েছেন৷ খোদ হোলি আর্টিজানের কুশীলবও প্রায় একই ধরনের পোশাক পরেছেন গর্বের সঙ্গে৷ পোশাক নামক প্রতীক বিবেবচনা করলে কুয়েটের মেধাবীরা পোশাকটি দৈবচয়ন করেছেন কিনা তা-ও একটি ভেবে দেখার বিষয়৷
কিন্তু আমরা বলতে চাই, সব ক্ষেত্রেই প্রশ্ন তোলা বা গেল গেল বলা আমাদের একরকম প্রবৃত্তি হয়ে গেছে কিনা৷
আমরা আর কতরকমের আতঙ্কে থাকব বা আমদানী করব? আমাদের মেয়েরা কপালে টিপ দিলে বা চুল খুলে হাঁটলে আমাদের ইসলাম কাতর হয়ে পড়ে৷ কয়েকটা ছাত্র আরবীয় পোশাক পরলে আমাদের সংস্কৃতি আইসিইউতে চলে যায়৷ আমরা তাহলে কী করব? উত্তর হতে পারে নিজস্ব সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য নিয়ে থাকব৷
সিরিয়াসলি?
আমাদের প্রতিদিনের জীবনাচরণে আমরা যা কিছু খাই, ঘুমাই, করি বা পরি তার কোনটি কোনটি আমার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে অনুসরণ করে চর্চিত? সেই ঐতিহ্যের বয়স কতদিন? আমাদের সংস্কৃতিই বা কোনটা- ভাষা, জাতি না ধর্মভিত্তিক?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গেলে আরো বেশি প্রশ্ন জন্ম নেওয়ার কথা৷ এজন্য তা পরের জন্য তোলা থাক৷ আপাতত একটা বিষয় বোধহয় আমাদের সবারই মাথায় রাখা দরকার৷ বিষয় না বলে শব্দ বলাই ভালো৷ আর সেটি হলো পরমতসহিষ্ণুতা৷ আমার মনে হয় এখন বোধহয় সহিষ্ণুতা শুধু নয়, পরের মতকে একটু শ্রদ্ধা করাও আমাদের একটু কষ্ট করে শিখতে হবে৷