1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে প্রতিবাদের প্রতীক আমিনিকে সাখারভ পুরস্কার দিলো ইইউ

১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

ইরানের প্রতিবাদী নারী প্রয়াত জিনা মাহসা আমিনি এবং তার সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সংগঠনকে সাখারভ পুরস্কার দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট৷ আমিনির পরিবারকে এই আয়োজনে উপস্থিত হতে বাধা দিয়েছে তেহরান৷

https://p.dw.com/p/4a76y
পুরস্কার হাতে ফ্রান্সে সাখারভ পুরস্কারপ্রাপ্ত আমিনির পরিবার ও সংগঠনের সদস্যরা
ইরানের প্রয়াত জিনা মাহসা আমিনি ও তার সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সংগঠনকে সাখারভ পুরস্কার দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট৷ছবি: Jean-Francois Badias/AP Photo/picture alliance

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট মঙ্গলবার তরুণ ইরানি কুর্দি নারী জিনা মাহসা আমিনির প্রতি শ্রদ্ধা জানায়৷ পুলিশী হেফাজতে তার মৃত্যু ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল৷ ইরানের বাধ্যতামূলক হিজাব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ধর্মীয় পুলিশের হাতে আটক থাকা অবস্থায় ২২ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন আমিনি৷

আমিনির মৃত্যুর পর ‘ওম্যান, লাইফ, ফ্রিডম' আন্দোলন গড়ে ওঠে৷ সংগঠনটির কিছু সদস্য এই পুরস্কার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷

পার্লামেন্টে যা বলা হয়েছে

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেটসোলা বলেন, ‘‘এই বছরের সাখারভ পুরস্কার ইরানের সকল সাহসী এবং প্রতিবাদী নারী, পুরুষ ও যুবকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়, যারা ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যেও পরিবর্তনের জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছেন৷''

আমিনির পরিবারকে পার্লামেন্টের একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি৷ এ বিষয়ে দু:খ প্রকাশ করেন মেটসোলা৷ আমিনির মা, বাবা এবং ভাইকে গত শুক্রবার ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গের ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পুরস্কার নিতে যাওয়ার সময় তেহরান বিমানবন্দরেই আটক করা হয়৷ কর্তৃপক্ষ পরে তাদের পাসপোর্টও বাজেয়াপ্ত করে৷

মেটসোলা বলেন, ‘‘তারা ইরানের সরকার আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছেন৷ ইরানের জনগণ প্রতিদিন কীসের মুখোমুখি হয় তার আরেকটি উদাহরণ এই ঘটনা৷''

তিনি বলেন, ‘‘আমরা বলতে চাই, ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের জন্য লড়াইয়ে ইরানের নারীদের সাহস এবং অদম্যতা বন্ধ হবে না৷ তাদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যাবে না এবং তারা আজ এখানে না থাকলেও তাদের উপস্থিতি অনুভূত হবে৷''

আমিনি পরিবারের আইনজীবী সালেহ নিকবখতের পাশাপাশি পুরস্কারটি পেয়েছেন ইরানের নারী অধিকারকর্মী আফসুন নাজাফি এবং মারসেদেহ শাহিনকার৷ আমিনির বোন নাজাফি এখন নির্বাসনে রয়েছেন৷

বিক্ষোভের ঢেউ, সরকারের দমন

আমিনির মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে বড় ধরনের প্রতিবাদ শুরু হয়৷ তেহরানে মুসলিম ধর্মগুরুর নেতৃত্বাধীন সরকারের অবসান এবং নারীদের মাথা ঢাকা স্কার্ফ ব্যবহারে আইন বাতিলের দাবিতে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়৷

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী কঠোরভাবে এই বিক্ষোভ দমন করে৷ শত শত মানুষ নিহত হন এবং কয়েক হাজার প্রতিবাদকারীকে আটক করা হয়৷ এই বছরের শুরুর দিকে বিক্ষোভের মাত্রা কমে আসে, তবে মাঝেমধ্যেই জনঅসন্তোষের ঘটনা ঘটে চলেছে৷

মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষাকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সম্মান জানাতে ১৯৮৮ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাখারভ পুরস্কারের ঘোষণা দেয়৷

এর নামকরণ করা হয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভিন্নমতাবলম্বী সোভিয়েত আন্দোলনকারী আন্দ্রেই সাখারভের নামে৷

এডিকে/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য