ইরানি বক্সারের মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে জাতিসংঘকে চিঠি
২৩ জুলাই ২০২৩বৃহস্পতিবার পাঠানো এই চিঠিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
২০১৯ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সামিল হওয়ার অভিযোগ ওঠে মোহাম্মদ জাভাদ ওয়াফাই থানির বিরুদ্ধে। তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। ১৯ জুলাইয়ের একটি চিঠি অনুসারে থানিকে গত বুধবার জানানো হয়, তার মৃত্যুদণ্ডের রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারক সাং-হিউন সং-সহ ৮৩ জনের স্বাক্ষরিত নথিতে বলা হয়েছে, "ইরানি কর্তৃপক্ষের কাছে ওয়াফাই থানির আসন্ন মৃত্যুদণ্ড রুখতে সবার প্রতি আপনি একটি জরুরি আহ্বান জানান। আমরা আপনার কাছে এই অনুরোধ করছি। বর্তমানে পদে আসীন এমন আধিকারিকদের পাশাপাশি, সাবেক জাতিসংঘের মানবাধিকার আধিকারিক এবং সাবেক প্রসিকিউটররা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।"
এ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইরানের বিচারবিভাগের কোনো মন্তব্য মেলেনি। তবে ওই বক্সারের আইনজীবী বাবাক পাকনিয়া এক টুইটে বলেছেন যে বিচারবিভাগ তাদের রায় সম্পর্কে কিছু জানায়নি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র ভলকার তুর্ক বলেছেন, "আমরা এই মামলার তথ্য পেয়েছি। ঘটনার দিকে নজর রাখছি এবং বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি।"
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দেশের নীতিপুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর প্রতিবাদেসরব হন ইরানের সাধারণ মানুষের একাংশ। বিক্ষোভ চরম আকার নেয়। আন্তর্জাতিক স্তরেও নিন্দার মুখে পড়ে ইরান।
তারপর থেকে, বিক্ষোভের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ধর্মগুরুদের দাবি, এভাবেই নাকি ইরানের শত্রুদের উসকানি দেয়া হয়েছে।
ইরানে গিয়ে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেইয়ের সঙ্গে বৈঠকের জন্য চাপ দেয়া হয়েছে তুর্ককে, আন্তর্জাতিক স্তরেও চাপ এসেছে। যদিও সেই প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
আরকেসি/এডিকে (রয়টার্স)