ইরাকের মতো ভুল লিবিয়াতে নয়
৪ সেপ্টেম্বর ২০১১রিকনসিলিয়েশন
এটা হচ্ছে একটা প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে গাদ্দাফি প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাকে নতুন প্রশাসনেও কাজ করতে দেয়া হবে৷ ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের পর সেখানে যেটা করা হয়েছিল সেটা ঠিক ছিলনা৷ যার পরিণতিতে ইরাকে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়৷ মার্কিন প্রশাসকের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সাদ্দাম হুসেনের পতনের পর তার প্রশাসন ও দলের সবাইকে গণহারে ছাঁটাই করে দেয়া হয়েছিল৷ লিবিয়ার ক্ষেত্রে তেমনটা যেন না করা হয় সেই চিন্তাভাবনা চলছে৷ ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্কো ফ্রাত্তিনি ইরাকের মতো ‘বড় ভুল' না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও লিবিয়ার নতুন নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন গাদ্দাফি প্রশাসনে কাজ করা কারও হাত যদি রক্তাক্ত না হয়ে থাকে অর্থাৎ সে যদি কোনোধরণের খারাপ কাজ না করে থাকে তাহলে কেন তাকে বাদ দিতে হবে?
এনটিসি কী বলছে?
এনটিসিও মোটামুটি এই ধরণেরই চিন্তা করছে৷ সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরেফ আলি নায়িদ, যিনি আরব আমিরাতে থেকে কাজ করেন, তিনি বলছেন রিকনসিলিয়েশন আর ক্ষমা ছাড়া কোনো দেশ গড়ে তোলা যায়না৷ নায়িদ বলেন এনটিসির শীর্ষনেতারা সবসময়ই এ ধরনের কথা বলে আসছেন৷
বিচার লিবিয়াতেই হতে পারে
ধরা পড়লে গাদ্দাফির বিচার লিবিয়াতেই করার পক্ষে এনটিসি৷ এমনই মন্তব্য করেছেন ব্রিটেনে থাকা এনটিসি'র মুখপাত্র গুমা আল-গামাতি৷ তিনি বলছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাদ্দাফির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে৷ সেখানে শুধু গাদ্দাফির গত ছয়মাসের কর্মকাণ্ডের বিচার হবে৷ কিন্তু গাদ্দাফি গত ৪২ বছর ধরে লিবিয়ায় যা করেছে তার বিচার লিবিয়াতেই হওয়া উচিত৷ গামাতি বলেন, বিচারে গাদ্দাফির মৃত্যুদণ্ড হবে কিনা সেটা বিচারকরাই বলতে পারবেন৷ তবে আন্তর্জাতিক সব বিচারমান মেনেই সেই বিচার হবে৷ আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ দেয়া হবে গাদ্দাফিকে৷ যদিও গত ৪২ বছরে তিনি তাঁর বিরুদ্ধবাদীদের কখনো সেই সুযোগটা দেননি৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়