প্যারিসে লিবিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন
১ সেপ্টেম্বর ২০১১প্যারিস সম্মেলন
ফ্রান্স ও ব্রিটেনের যৌথ আয়োজনে সম্মেলনটি হতে যাচ্ছে৷ সেখানে উপস্থিত থাকছেন প্রায় ৬০টি দেশের শীর্ষ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা৷ যার মধ্যে আয়োজক দেশের দুই শীর্ষ নেতা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন জাতিসংঘের মহাসচিব, জার্মান চ্যান্সেলর ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ লিবিয়ার বিদ্রোহী ‘ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল' এনটিসি'র প্রেসিডেন্ট মুস্তফা আবদেল জলিল গাদ্দাফি পরবর্তী লিবিয়ার পুনর্গঠনে পরিষদের পরিকল্পনা তুলে ধরবেন৷ এনটিসি'কে আন্তর্জাতিকভাবে আরও পরিচিত করে তুলতে এই সম্মেলন কাজে লাগবে৷
সংকট
লিবিয়ায় বিদ্রোহী আন্দোলন প্রায় শেষ পর্যায়ে৷ এখন সেখানে পানি, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য মৌলিক বিষয়ের সংকটই প্রধান বিষয়৷ এগুলো মোকাবিলায় প্রচুর অর্থের প্রয়োজন বলে মনে করছে এনটিসি৷ তাই বিভিন্ন দেশে থাকা লিবিয়ার সম্পদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিষদের নেতারা৷ এই ডাকে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স ইতিমধ্যে জব্দ করা বেশ কিছু অর্থ ছেড়ে দিয়েছে বা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আর আজ বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৫০টির মধ্যে মোট ২৮টি কোম্পানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথা জানিয়েছে৷
এনটিসিকে স্বীকৃতি
অবশেষে রাশিয়া এনটিসিকে এনটিসিকে লিবিয়ার ‘শাসক' হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে৷ আর চীন সরাসরি স্বীকৃতি না দিলেও বলেছে তারা লিবিয়ার মানুষের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করে৷ লিবিয়ার প্রতিবেশী দেশ আলজেরিয়া, যেখানে গাদ্দাফির স্ত্রী ও সন্তানেরা আশ্রয় নিয়েছে, তারা বলছে লিবিয়ায় সব অঞ্চলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠনের যে কথা বিদ্রোহীরা বলছে সেটা হলে তাকে সমর্থন জানাবে আলজেরিয়া৷
জার্মানির ভূমিকা
লিবিয়ায় ন্যাটোর অভিযানের বিষয়ে জাতিসংঘে যে ভোটাভুটি হয়েছিল তাতে অংশ নেয়নি জার্মানি৷ তবে গাদ্দাফি-উত্তর লিবিয়ার পুনর্গঠনে জার্মানি সাহায্য করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ প্যারিসের সম্মেলনে উপস্থিত হবার আগে বার্লিনে সেই প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন তিনি৷ পানি সরবরাহ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রযুক্তি সাহায্য এবং গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়তার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন ম্যার্কেল৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক