লিবিয়ায় বিদেশি সেনা চায় না বিদ্রোহীরা
৩১ আগস্ট ২০১১লিবিয়ায় বিদেশি সেনা
লিবিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্ব বিদ্রোহীরাই কাঁধে নিতে রাজি৷ এজন্য কোন বিদেশি সেনা বা পর্যবেক্ষক চায় না বিদ্রোহীরা৷ সেদেশের ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল, এনটিসি'র চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, নিরাপত্তার জন্য বিদেশি সহায়তার প্রয়োজন নেই৷ লিবিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের দূত ইয়ান মার্টিন জানান, জাতিসংঘ লিবিয়ায় সামরিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনায় এনেছিল৷ জাতিসংঘে নিযুক্ত লিবিয়ার দূত ইব্রাহিম দাবিসিও আন্তর্জাতিক সেনা উপস্থিতির ক্ষেত্রে না-সূচক মত ব্যক্ত করেছেন৷ তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়োগের সম্ভাবনার কথা বলছে কিন্তু লিবিয়ার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা৷ লিবিয়ার সহিংসতা প্রসঙ্গে ইব্রাহিম বলেন, এটা কোন গৃহযুদ্ধ নয়, দুই দলের মধ্যে কোনও সংঘাত নয়, লিবিয়ার জনগণই একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে৷
যুদ্ধ পরিস্থিতি
বিদ্রোহী বাহিনী মুয়াম্মার গাদ্দাফির জন্মস্থান সির্ত শহরের পূর্ব এবং পশ্চিম অংশ থেকে আক্রমণ শুরু করেছে৷ সে শহরের উপর ন্যাটোর বিমান হামলাও চলছে৷ এরই মাঝে এনটিসি, গাদ্দাফিপন্থীদেরকে আত্মসমর্পণ বা দলত্যাগের জন্য শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে৷ তবে, গাদ্দাফির মুখাপাত্র মুসা ইব্রাহিম এই সময়সীমাকে উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, কোন সম্মানিত, মর্যাদাপূর্ণ জাতি সশস্ত্র গুন্ডা দলের চরমপত্র মেনে নেবেনা৷ তবে ক্রান্তিকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে গাদ্দাফি পুত্র সাদ বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মুসা৷
গাদ্দাফি কোথায়?
এটি এখন কোটি টাকার প্রশ্ন৷ বিদ্রোহী কমান্ডাররা গাদ্দাফির অবস্থান সনাক্তে বিভিন্ন পন্থায় কাজ করছে৷ বিশেষ করে টেলিফোন কল কিংবা তথ্যবাহকদের সূত্র ধরে গাদ্দাফির অবস্থান জানার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ এনটিসি'র ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা হিশাম বুহাগির বিশ্বাস করেন, মুয়াম্মার গাদ্দাফি ত্রিপোলির কাছের শহর বনি ওয়ালিদ অথবা সির্ট শহরে অবস্থান করছেন৷ তিনি বলেন, সেখানে কিছু দল নিযুক্ত আছে যারা তাঁর ফোন কল সনাক্তের চেষ্টা করছে৷ আমরা জানি, গাদ্দাফি নিজে ফোন ব্যবহার করছেন না৷ তবে, তাঁর আশেপাশে যারা ফোন ব্যবহার করেন, তাদের দিকে নজর আমাদের৷ বলাবাহুল্য, মুয়াম্মার গাদ্দাফি কোথায় আছেন সেটি নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি কোন পক্ষই৷ তবে আলজিরিয়া জানিয়েছে, গাদ্দাফি'র স্ত্রী এবং তিন সন্তান সেদেশে আশ্রয় নিয়েছেন৷ ‘মানবিক' কারণেই নাকি তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে আলজিরিয়া৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক