1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাদ্দাফির অনুগামীদের শনিবার পর্যন্ত সময় দিল বিদ্রোহীরা

৩০ আগস্ট ২০১১

লিবিয়ার বিদ্রোহীরা এখনো গাদ্দাফিকে আটক করতে পারে নি৷ গোটা দেশের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ এখনো কায়েম হয় নি৷ বিদ্রোহী পরিষদকে আরও সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সমাজ৷

https://p.dw.com/p/12Q3J
লড়াই এখনো থামে নিছবি: dapd

ন্যাটোর বিমান হামলা সত্ত্বেও গাদ্দাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের সাফল্য ধীর গতিতে এসেছে৷ সাফল্য নিশ্চিত মনে হলেও বার বার বিলম্ব ঘটেছে৷ গত সপ্তাহে ত্রিপোলিতে বিদ্রোহী বাহিনীর প্রবেশ সেরকমই একটি ঘটনা৷ রাতারাতি সপরিবারে গাদ্দাফিকে আটক বা তাদের হত্যা করে বিদ্রোহীরা দ্রুত দেশের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেবে – অনেকে এমনটা আশা করেছিলেন৷ বাস্তবে কিন্তু এমনটা ঘটছে না৷ গাদ্দাফির জন্মস্থান সির্ত সহ দেশের কিছু এলাকায় গাদ্দাফি বাহিনী প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে৷ খোদ গাদ্দাফি কোথায়, কেউ তা জানে না৷ শুধু তাঁর স্ত্রী ও ৩ সন্তান প্রতিবেশী দেশ আলজেরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে৷ বিদ্রোহীরা একারণে আলজেরিয়ার কড়া সমালোচনা করেছে৷ তাদের কাছে এই আচরণ আগ্রাসনের সামিল৷

Libyen Familie Gaddafi Flash-Galerie
গাদ্দাফির পরিবারের একটা বড় অংশ আলজেরিয়া পালিয়ে গেছেছবি: AP

বিদ্রোহীদের রণকৌশলে পরিবর্তন

সরাসরি হামলা বা সংঘাতের ফলে দ্রুত ফল পাচ্ছে না বিদ্রোহী বাহিনী৷ দেশের সিংহভাগের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পর তারা নৃশংস কোনো অভিযানও চালাতে চাইছে না৷ এই অবস্থায় বিদ্রোহী পরিষদের নেতা মুস্তফা আব্দেল জলিল সির্ত সহ বাকি এলাকায় বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের জন্য ৪ দিন সময় দিয়েছেন৷ শনিবারের মধ্যে এই অচলাবস্থার শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে পূর্ণাঙ্গ সামরিক অভিযানের হুমকি দিয়েছেন তিনি৷ বিদ্রোহীদের কমান্ডার কর্নেল আহমেদ ওমর বানি বলেন, চূড়ান্ত লড়াইয়ের সময় এসে গেছে৷

গাদ্দাফি ও তাঁর পরিবারের গতিবিধি

গাদ্দাফির স্ত্রী সাফিয়া, কন্যা আইশা, দুই পুত্র হানিবাল ও মহম্মদ এবং তাদের সন্তানরা সোমবার সকালে সীমান্ত পেরিয়ে আলজেরিয়ায় প্রবেশ করেছেন বলে আলজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷ সীমান্ত পেরোনোর পর আইশা এক শিশুকন্যার জন্ম দিয়েছেন৷ এদিকে ব্রিটেনের ‘স্কাই নিউজ' টেলিভিশন কেন্দ্র গাদ্দাফির আরেক পুত্র খামিস'এর ১৭ বছর বয়স্ক এক দেহরক্ষীকে উদ্ধৃত করে দাবি করছে, যে গত শুক্রবার পর্যন্ত মুয়াম্মার গাদ্দাফি ত্রিপোলিতেই ছিলেন৷ ছেলের সঙ্গে দেখা করে তিনি সাবহা শহরে চলে যান৷ ন্যাটো জানিয়েছে, গাদ্দাফি এখনো তার বাহিনীর উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পেরেছেন৷

Flash-Galerie Mustafa Abdul-Jalil Libyen Doha
বিদ্রোহী পরিষদের নেতা জলিল বিদ্রোহীদের শনিবার পর্যন্ত সময় দিচ্ছেনছবি: dapd

আন্তর্জাতিক তৎপরতা বাড়ছে

ন্যাটো গাদ্দাফি নিয়ন্ত্রিত এলাকার উপর বোমা বর্ষণ করে চলেছে৷ চলতি সপ্তাহের শেষে প্যারিসে লিবিয়া সংক্রান্ত এক বিশাল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যাতে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল সহ ৩০টি দেশ ও সংগঠনের প্রায় ৬০ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অংশ নেবেন৷ প্রায় ৬ মাসের যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক সমাজ লিবিয়ার বিদ্রোহী পরিষদকে কীভাবে সাহায্য করতে পারে, সম্মেলনে সেবিষয়ে আলোচনা হবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান