ইউক্রেনের তিনটি অঞ্চল দখলের চেষ্টায় রাশিয়া
৩ মে ২০২২পূর্ব ইউক্রেনের খেরসনে রোববার ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছিল। সোমবার ফের তা চালু হয়। ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, নতুন নতুন পরিষেবা রাশিয়া থেকে রাউটিং করা হয়েছে। অর্থাৎ, রাশিয়ার মাধ্যমে এখন খেরসনে ইন্টারনেট পৌঁছাচ্ছে। এর ফলে রাশিয়া ওই অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি চালাতে পারবে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য।
বস্তুত, অ্যামেরিকার ধারণা, কিয়েভ না পারলেও পূর্ব ইউক্রেনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল রাশিয়া সম্পূর্ণভাবে দখল করতে চাইছে। খেরসন তার অন্যতম। রাশিয়া জানিয়েছে, দ্রুত সেখানে রাশিয়ার মুদ্রা রুবল চালু করে দেওয়া হবে। বস্তুত, খেরসনে রাশিয়ার মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নতুন প্রশাসনও গঠন করে ফেলেছে।
অর্গানাইজেশন ফর সিকিওরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপের (ওএসসিই) মার্কিনদূত মিশেল কার্পেন্টর জানিয়েছেন, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক-সহ একাধিক এলাকা রাশিয়া সম্পূর্ণ দখলে নিতে চাইছে। খেরসনেও একই পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছে তারা। ওদেসাও তারা দখল করতে চাইছে। বস্তুত, এর আগেও পেন্টাগন একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। খেরসনে রাশিয়া যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে এই আশঙ্কা আরো স্পষ্ট হয়েছে।
বরিস জনসনের বক্তব্য
কয়েকদিনের মধ্যেই ইউক্রেনের পার্লামেন্টে বক্তৃতা দিতে পারেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার বক্তৃতার একটি অংশ প্রকাশ করেছে তার অফিস। সেখানে তিনি লিখেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রবল চাপের মধ্যেও যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নিয়মিত বসতো। ইউক্রেনের নেতারাও সেই একই কাজ করছেন। সেখানে কথা বলতে পেরে তিনি খুশি। জনসন অবশ্য ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দেবেন পার্লামেন্টে। সশরীরে উপস্থিত হবেন না।
ওই দিনের বক্তৃতাতেই ইউক্রেনের জন্য ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড ঘোষণা করতে পারেন তিনি। মূলত সামরিক সাহায্যের জন্যই ওই অর্থ দেওয়া হবে বলে যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকদের বক্তব্য।
এক তরুণের মৃত্যু
সোমবার রাতে তার ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, বন্দর শহর ওদেসায় রাশিয়ার গোলার আঘাতে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত এক তরুণ। যুদ্ধেরসঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
মারিউপলের উদ্ধারকাজ
সোমবারের পর মঙ্গলবারও মারিউপলে উদ্ধারকাজ চলবে বলে জানিয়েছে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারের কর্মকর্তারা। রেডক্রস এবং জাতিসংঘের উপস্থিতিতে উদ্ধারকাজ হবে। ইউক্রেনের সময় মঙ্গলবার সকাল সাতটায় উদ্ধারকাজ শুরু হওয়ার কথা। যে গতিতে সেখানে উদ্ধারকাজ হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেনের প্রশাসন। এবং তার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়েছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারের কর্মকর্তাদের বক্তব্য, কিয়েভের বাইরে অন্তত তিনটি জায়গায় গণকবর উদ্ধার হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট অত্যাচারের চিহ্ন মিলেছে। মারিউপলেও একই ধরনের দৃশ্য দেখতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)