আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই
২৪ মার্চ ২০১৪এর আগে সোমবার সকালে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া জানায়, চীনা ইলিউশিন আইএল-৭৬ বিমানটি ভারত মহাসাগরের বেশ কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাসমান বড় একটি বস্তু এবং ছোট ছোট সাদা রঙের কিছু বস্তুর দেখা পেয়েছে, যা এলাকাব্যাপী ছড়িয়ে রয়েছে৷ তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যে, চীনা সরকার এখনো নিশ্চিত নয় যে বস্তুগুলো আসলেই নিখোঁজ বিমানের কিনা৷ মঙ্গলবার চীনের চারটি জাহাজ ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলে পৌঁছানোর কথা৷
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত অনুসন্ধানী বিমান মার্কিন নৌ-বাহিনীর পি-৮ পোসেইডন চীনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর, সোমবার সেখানে তল্লাশি শুরু করেছে৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার মেরিটাইম সেফটি অথরিটি বা এএমএসএ একটি মেইলে রয়টার্সকে জানিয়েছে যে, চীনা বিমানটি ৩৩ হাজার ফুট উপর থেকে বস্তুটি লক্ষ্য করার পর তাদের অনুসন্ধানী বিমান পি-৮ পোসেইডন ঘটনাস্থলে গিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে৷ সোমবার দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানও দুটি বস্তু দেখতে পায় এবং শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী তল্লাশি চালাতে তাদের একটি জাহাজ ঐ স্থানে যাচ্ছে৷
তবে এগুলি ছাড়াও এদিন বেশ কয়েকটি দেশের জাহাজ ও বিমান ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলে খোঁজ চালিয়েছে৷ এছাড়া অস্ট্রেলিয়া ও অ্যান্টার্কটিকার ৫৯ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে ১০টি বিমান৷
এর আগে শনিবার অস্ট্রেলিয়ান একটি বিমান পশ্চিম উপকূল থেকে অনেক দূরে কাঠের তক্তা এবং আরো কিছু জিনিসের সন্ধান পায়৷ অস্ট্রেলিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী ওয়ারেন ট্রুস বলেছেন, যেখান থেকে যতটুকু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সবই অনুসন্ধান করে দেখছেন তারা৷
এদিকে মার্কিন নৌ-বাহিনী ভারত মহাসাগরে একটি বিশেষ ডিভাইস পাঠাতে যাচ্ছে, যা বলে দেবে বিমানটির ‘ব্ল্যাক বক্স' কোথায় রয়েছে৷ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এই যন্ত্রটি ২০,০০০ ফিট গভীরের ব্ল্যাক বক্সের সন্ধান দিতে পারে৷ তবে ব্ল্যাক বক্সটি অনুসন্ধান যত দ্রুত চালানো সক্ষম ততই ভালো কেননা, ৩০ দিন পর এর সিগনাল বন্ধ হয়ে যায়৷
মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ অবশ্য নিখোঁজ বিমানটির স্বজনদের জানিয়ে দিয়েছেন, সব তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে এমএইচ৩৭০ হারিয়ে গেছে এবং আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই৷
ওদিকে সোমবার ও মঙ্গলবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তর৷ ফলে অনুসন্ধানকাজ আরো ধীর গতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে ৮ই মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ উড়ালের বিমানটি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়৷
অন্যদিকে সোমবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সৌলগামী একটি বিমান বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে হংকং এ অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে৷ পরে সেখান থেকে ২৭১ জন যাত্রীকে অন্য বিমানে সৌল রওনা করা হয় বলে হংকং-এর বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে৷
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)