নিখোঁজ বিমানের জন্য বিমা
২০ মার্চ ২০১৪সাধারণত আন্তর্জাতিক রুটে চলা সব বিমান এবং তার আরোহীরা বিমার আওতায় থাকেন৷ বিমানের মূল কাঠামোর পাশাপাশি প্রতি সিট হিসেবে ‘প্যাসেঞ্জার লায়াবেলিটি ইন্স্যুরেন্স' করা হয়৷ ফলে কোনো বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে বিমানটির মালিক কর্তৃপক্ষ এবং আরোহীরা – দু'পক্ষই বিমা কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পান৷ তবে দুর্ঘটনায় বিমান আরোহীর কেউ নিহত হলে তাঁর পরিবার টাকা পেয়ে থাকেন বিমার আওতায়৷
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ উড়ালের বিমানটি এবং আরোহীরাও বিমার আওতায় আছেন৷ এয়ারলাইন্সটির মূল বিমাকারক প্রতিষ্ঠান আলিয়ান্স৷ মঙ্গলবার রাতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এমএইচ৩৭০ উড়ালের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিমান এবং সেটির আরোহীদের বিমার আওতায় টাকা দিতে শুরু করেছে তারা৷ চলতি সপ্তাহের মধ্যেই টাকা দেয়ার প্রক্রিয়া শেষ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে আলিয়ান্স৷
বলা বাহুল্য, অর্থনীতি বিষয়ক জার্মান পত্রিকা ‘হান্ডেল্সব্লাট'-এর আগে বিমার টাকা পরিশোধের খবর প্রকাশ করে৷ এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে আলিয়ান্স৷ পত্রিকাটির বুধবারের সংস্করণে জানানো হয়েছে, বোয়িং ৭৭৭-এর এমএইচ৩৭০ উড়ালের বিমান এবং তাতে থাকা ২৩৯ জন আরোহীর পরিবারের জন্য ১০০ মিলিয়ন ইউরোর মতো দেবে জার্মান এই বিমা কোম্পানি৷
অবশ্য মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের মূল বিমাকারক আলিয়ান্স হলেও অন্যান্য বিমা কোম্পানিও এক্ষেত্রে সম্পৃক্ত রয়েছে৷ তাই অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে আলিয়ান্সকে সহায়তা করছে অন্যান্য কোম্পানি৷ এই সহায়তার পরিমাণ সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি আলিয়ান্স৷ এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বর্তমান ‘মার্কেট প্র্যাকটিস' এবং বিমানটি নিখোঁজ থাকার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই অর্থ ছাড়া হচ্ছে৷
উল্লেখ্য, কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে ৮ই মার্চ নিখোঁজ হয় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-এর এমএইচ৩৭০ বিমানটি৷ মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটির গতিপথ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও কয়েক ঘণ্টা উড়ালটি আকাশে ওড়ে৷ বিমানটির খোঁজে এখন ২৬টি দেশ জলে এবং স্থলে তল্লাশি চালাচ্ছে৷ তবে বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার সঠিক কারণ এখনো শনাক্ত করা যায়নি৷
এআই/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)