অশান্ত উত্তরবঙ্গ, বোমা, ভাঙচুর, অবরোধ
২৮ এপ্রিল ২০২৩কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তদন্তে নেমে তার দেহ নির্মমভাবে ঝুলিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এরপরই বিক্ষোভে উত্তাল হয় কালিয়াগঞ্জ। থানায় আগুন ধরানো হয়। পুলিশকে আক্রমণ করে উত্তেজিত জনতা। তারপর পুলিশ তল্লাশির নামে রাতে গিয়ে এক বিজেপি সমর্থককে গুলি করে হত্যা করে। এরপর উত্তেজনা আরো বাড়ে।
এরই প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছিল বিজেপি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশের পাশাপাশি তৃণমূলের কর্মীরাও বনধ ব্যর্থ করার জন্য রাস্তায় নেমে পড়ে। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূল তাদের দলীয় অফিস ভাঙচুর করেছে। পাল্টা একই অভিয়োগ তৃণমূলেরও। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দিনাজপুরে অশান্তি হয়েছে।
ভেটাগুড়িতে বোমাবাজি ও বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে। কোচবিহারে চাকির মোড়ে সরকারি বাস ভাঙা হয়েছে। কোচবিহার থেকে দিনহাটাগামী বাসের সামনের কাচ পাথরের আঘাতে ভেঙে যায়। বাসের চালকরা মাথায় হেলমেট পরে বাস চালাতে থাকেন। বেসরকারি বাস খুব একটা চলেনি।
কোচবিহারে বনধের সমর্থনে মিছিল করছিল বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে। পুলিসের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধ্বস্তাধস্তি হয়।
জলপাইগুড়িতেও বনধ নিয়ে গোলমাল হয়েছে। প্রচুর পুলিশ ও দাঙ্গারোধী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মালদহে বিভিন্ন জায়গায় বনধে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। আলিপুরদুয়ারেও দোকান খোলেনি। বাস বেশি চলেনি। শিলিগুড়িতে জোর করে দোকান বন্ধ করে দেয়া হয় বলে অভিয়োগ।
বিজেপি কর্মীরা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করায় আসামের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সড়কপথে যোগাযোগ অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল।
অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জের ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও আইজিকে সাতদিনের মধ্যে দিল্লিতে তফসিলি কমিশনে আসতে বলা হয়েছে।
জিএইচ/এসি(পিটিআই, এএনআই)