1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ

৩০ মার্চ ২০১২

বাণিজ্যিক এবং আধুনিক যোগাযোগের বিষয় মাথায় রেখেই বাংলাদেশ প্রথমবারে মতো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ স্যাটেলাইট’টির নাম বঙ্গবন্ধু-১৷ এর ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আরো সক্ষমতার সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ৷

https://p.dw.com/p/14VFD
ছবি: AP

স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের জন্য বাংলাদেশ চুক্তি করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল' বা এসপিআই'এর সঙ্গে৷ বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেছেন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ টেলিকম্যুনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন' বা বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জিয়া আহমেদ (অব.)৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো এখন বাইরের স্যাটেলাইট ভাড়া করছে৷ তাই বাংলাদেশ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলে বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, খনিজ সম্পদ আহরণ, সমুদ্র সীমাসহ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে৷

তিনি জানান, এসপিআই সাটেলাইট উৎক্ষেপণ, গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ ও গ্রাউন্ড স্টেশনে যাঁরা কাজ করবেন তাঁদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহায়তা করবে৷

Mosud Mannan Botschafter Bangladesh
শেখ মুজিবের নামে স্যাটেলাইট’টির নাম রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু-১ছবি: DW

জিয়া আহমেদ জানান, এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ৩ থেকে ৪শ' মিলিয়ন ডলার খরচ হবে৷ আর তা উঠে আসতে মাত্র পাঁচ বছর সময় লাগবে৷ কারণ স্যাটেলাইট এখন একটি বড় ব্যবসা৷ ২০১০ সালে বিশ্বে ১০১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা হয়েছে৷

বিশ্বে এখন ৫০টির মতো দেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট আছে৷ তবে অনেক দেশ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর তা ব্যবহার করতে পারেনি৷ এই আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দেননি বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান৷ তবে তাঁর মতে এক্ষেত্রে সফলতার হার ৯৫ ভাগ৷ আর ইন্সুরেন্স তো থাকবেই৷

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি মহাকাশে ১০২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায় স্থাপন করা হবে৷ এটি প্রতি ঘণ্টায় ৬ হাজার ৭শ' মাইল গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে৷ জিয়া আহমেদ জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গীকার পূরণে এটি সরকারের আরো একটি বড় পদক্ষেপ৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য