1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কৃত্রিম উপগ্রহ

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২

বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে৷ আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে মহাকাশে নিজেদের কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল বাংলাদেশ৷ এখন সেটা বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে৷

https://p.dw.com/p/142up
Undated artist rendering provided by EADS Astrium shows the scientific satellite Rosat. The German Aerospace Center said the retired satellite is hurtling toward the atmosphere and pieces could crash into the earth as early as Friday. Spokesman Andreas Schuetz told The Associated Press on Wednesday, Oct. 19, 2011 that most of the satellite named ROSAT, which is about the size of a minivan, will burn up during re-entry. (Foto:EADS Astrium/AP/dapd)
ফাইল ছবিছবি: AP/EADS

যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল, এসপিআই কোম্পানিকে পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ এ মাসের ২৪ তারিখের মধ্যে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি হবে বলে জানালেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ৷

এসপিআই'এর কাজ কী হবে? এ সম্পর্কে বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান বললেন, ‘‘তাদের কাজ হবে স্যাটেলাইট ডিজাইন ও এটির নির্মাণকাজ তদারকি করা৷ এছাড়া কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণের সঙ্গে বাংলাদেশের যারা জড়িত থাকবে তাদেরকেও সহায়তা করবে এসপিআই৷ গ্রাউণ্ড স্টেশন তৈরি, বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং এই উপগ্রহকে কী কী ভাবে কাজে লাগানো হবে সেটার পরিকল্পনাও করবে এসপিআই৷''

জিয়া আহমেদ বলছেন, এসপিআই'এর সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে, কবে নাগাদ উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হতে পারে৷ তিনি বলছেন, ‘‘পরামর্শদাতারা আসার পর বিটিআরসির স্যাটেলাইট কমিটি তাদের সঙ্গে বসে বিষয়টি ঠিক করবে৷''

এসপিআই'এর পরামর্শদাতাদের সঙ্গে একসাথে বসে যেন বিটিআরসির কর্মকর্তারা কাজ করতে পারেন সেজন্য বিটিআরসি কার্যালয়ের পাঁচতলায় জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷ ‘‘স্থান বরাদ্দ হয়ে গেছে৷ এখন সেটা ঠিকঠাক করার কাজ চলছে৷''

এছাড়া কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের এই কাজের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিটিআরসি'র উপ-পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাককে৷

জিয়া আহমেদ বলছেন বিটিআরসি'র অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে৷ আর উপগ্রহটি হবে ‘সম্প্রচার ও যোগাযোগ' উপগ্রহ৷ অর্থাৎ এর মাধ্যমে দেশের বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো উপকৃত হবে৷ তিনি বলছেন, ‘‘বর্তমানে দেশে ২২টি টিভি চ্যানেল রয়েছে৷ অন্য দেশের স্যাটেলাইট ব্যবহারের জন্য তারা প্রতি বছর ভাড়া হিসেবে অনেক টাকা দিচ্ছে৷ কিন্তু বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ হয়ে গেলে সেটার আর প্রয়োজন হবে না৷''

জানা গেছে, একেকটি টিভি চ্যানেল স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ডলার দিয়ে থাকে৷ সে হিসেবে বর্তমানে চ্যানেলগুলো প্রতি বছর প্রায় ৪০ লাখ ডলার ভাড়া দিচ্ছে৷

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলছেন, সম্প্রচার ছাড়াও আর অন্য কোনো কাজে এই উপগ্রহকে কাজে লাগানো যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘এসপিআই'এর সঙ্গে বসে ব্যবসা পরিকল্পনাটা ঠিক করা হবে৷ যেন উপগ্রহ উৎক্ষেপণটা লাভজনক হয়৷''

এর আগে একটি সংবাদ মাধ্যমকে জিয়া আহমেদ জানিয়েছেন, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে৷ তবে উৎক্ষেপণের পর ৫ বছরের মধ্যে সেই টাকাটা উঠে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ আর পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান এসপিআইকে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা দিতে হবে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান৷

এদিকে প্রকল্প পরিচালক গোলাম রাজ্জাক জানিয়েছেন, স্যাটেলাইট স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে মহাকাশ কক্ষপথে বাংলাদেশকে জায়গা দেওয়া হয়েছে৷ পরামর্শদাতা বিষয়ক প্রকল্প কার্যালয়ে বিদেশি পরামর্শক দলের ২৫ জন এবং বাংলাদেশের ছয় জন কাজ করবেন বলে জানান তিনি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য