হাবক্যাপ থেকে শিল্পকর্ম
১ এপ্রিল ২০১৬গাড়ির চাকার হাবক্যাপ থেকে ভাস্কর্য: মাছ কিংবা পাখি কিংবা ব্যাঙ৷ ব্রিটিশ শিল্পী টোলেমি এলরিংটন জীবজন্তুর মূর্তি তৈরি করতে ভালোবাসেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘লোকে ভাবে হাবক্যাপ মানে হাবক্যাপ, কিন্তু আসলে তা নানা ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি৷ হাবক্যাপ নানা আকারের হয়, তা দিয়ে অনেক কিছু করা যায়, খেলা করা যায়৷ আসলে আমি সেটাই করছি: আমি যখন কাজ করি, তখন আমি কিন্তু খেলাই করছি৷''
নিজের স্টুডিও-তে প্লাস্টিকের হাবক্যাপগুলো নানা আকারে কেটে তারপর কাজ শুরু করেন এলরিংটন৷ আশির দশকে আর্ট আর ডিজাইন নিয়ে পড়াশুনো করেছিলেন৷ আজ স্বাধীনভাবে কাজ করেন৷ খুব কঠিন কোনো ভাস্কর্য হলে আগে থেকে স্কেচ করে নেন, কিংবা ফটো দেখে দেখে কাজ করেন৷ তবে হাবক্যাপটা কিভাবে তৈরি, প্রধানত তা থেকেই তিনি আইডিয়া পান৷ হাবক্যাপের আকৃতিই তাঁর শিল্পের প্রেরণা যোগায়৷
১৫ বছর ধরে টোলেমি এলরিংটন তাঁর এই আজব শিল্পকর্ম করে আসছেন৷ কোনো কোনো মূর্তি একদিনেই শেষ হয়ে যায়, কোনো কোনোটাতে বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যায়৷ ব্রিটিশ এই শিল্পী জানান, ‘‘সৃজনীমূলক কাজের সবচেয়ে বড় কথা হলো, তা ছবিই আঁকুন আর মূর্তিই গড়ুন, ঠিকমত দেখতে পারা৷ চোখ আর মাথাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যা-তে মাথায় যে সব আকৃতি রয়েছে, সেগুলো বাস্তব আকার নিতে পারে৷''
এ পর্যন্ত বেশ কয়েক'শ জীবজন্তু গড়েছেন এলরিংটন৷ গড়ে হাজার ইউরো মূল্য দিয়ে এই সব শিল্পকর্ম কেনেন সৌখিন খদ্দেররা৷ আবার যে সব মূর্তিতে কাজ বেশি, সেগুলোর দাম চল্লিশ হাজার ইউরো অবধি হতে পারে৷ এলরিংটন বলেন, ‘‘আমার মাথায় আইডিয়াটা আসে কারণ আমরা একটা রাস্তার বাঁকের কাছে থাকতাম৷ রাস্তার ধারে গাড়ি থেকে ছটকে যাওয়া হাবক্যাপগুলো পড়ে থাকত৷ সেগুলোকে কেউ তুলে ময়লা ফেলার ধাপাতেও নিয়ে যেত না৷ কাজেই আমি সেগুলো কুড়িয়ে আনতে শুরু করি৷ পরে দেখেছি, হাবক্যাপগুলোর মধ্যে কয়েকটার ডিজাইন সত্যিই বেশ সুন্দর৷''
আজ ৫০ বছর বয়সেও এলরিংটন তাঁর শিল্পের মালমশলা রাস্তাতেই খুঁজে পান...৷