হংকং নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইন, ক্ষুব্ধ চীন
২৮ নভেম্বর ২০১৯হংকংয়ের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সেখানে যথাযথ স্বায়ত্তশাসন আছে কিনা তা দেখবে যুক্তরাষ্ট্র৷ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অন্তত বছরে একবার এই বিষয়ে সনদ দিবে৷ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ওয়াশিংটন হংকংয়ের উপর অবরোধও আরোপ করতে পারবে৷ এমনই একটি আইন পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রে৷
মার্কিন কংগ্রেসে ব্যাপক সমর্থন পাওয়া এই বিলে বুধবার স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ৷
এখানেই শেষ নয়৷ হংকংয়ের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিধিনিষেধ সংক্রান্ত আরেকটি বিলও সই করেছেন ট্রাম্প৷ এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে টিয়ারগ্যাস, পিপার স্প্রে, রাবার বুলেট, স্টেন গানসহ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করতে পারবে না৷
এই আইন পাসের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি বাধাগ্রস্থ হতে পারে৷ সেজন্য তেমন একটা আগ্রহ ছিল না ডনাল্ড ট্রাম্পের৷ তবে কংগ্রেসের কাছে এক্ষেত্রে নতি স্বীকার করতে হয়েছে তাকে৷ ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি এবং হংকংয়ে জনগণের প্রতি সম্মান রেখেই তিনি বিলগুলো স্বাক্ষর করেছেন৷ আর এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে চীন ও হংকংয়ের নেতারা যাতে একসাথে বসে বিরোধ মেটান এবং দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা করেন৷
তবে ট্রাম্প যতই আশ্বস্ত করার চেষ্টা করুন না কেন বিষয়টি ভালোভাবে দেখছে না চীন৷ এই আইনকে চীনের অভ্যন্তরীন বিষয়ে ভয়ানক হস্তক্ষেপ এবং নির্লজ্জ কতৃত্বপরায়ন আচরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশটি৷
‘‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে ইচ্ছামতো আচরণ না করার পরামর্শ দিচ্ছি, নয়তো চীন দৃঢ়ভাবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে,’’ জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ পরবর্তীতে দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে টেরি ব্রানস্টাডকেও তলব করেছে তারা ৷
প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হংকংও৷ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আইন সহিংস বিক্ষোভকারীদের ভুল বার্তা দেবে বলে উল্লেখ করেছে তারা৷ একে অভ্যন্তরীণ বিষয়ের উপর স্পষ্ট হস্তক্ষেপ হিসেবেও অভিহিত করেছে সেখানকার সরকার৷
এফএফ/এসিবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)