‘‘দ্য লেডি’’
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২সু চি'র চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রাক্তন বন্ড গার্ল মিশেল ইয়েও৷ ওদিকে মিয়ানমারে যে এক নতুন স্বাধীনতার হাওয়া বইছে, তার প্রমাণ, ইয়াঙ্গনের রাস্তায় রাস্তায় ফেরি করা হচ্ছে সু চি'র জীবনীমূলক ছবি, তা সে পাইরেটেড কপি যতোই ভাসা ভাসা, ঘষা ঘষা হোক না কেন৷ লোকজন তা'তে পরোয়া না করেই কিনছে ছবিটি৷ এবং পরে নাকি বলছে, ছবিতে যা দেখা গেছে, সু চি স্বয়ং তার চেয়ে অনেক ভালো৷ বলতে কি, চিত্র সমালোচকদেরও তা'ই মত৷ ওদিকে ‘‘দ্য লেডি'' ডিভিডি'র বিক্রেতারা আরো বলছে, আগে তাদের এতোটা সাহস হতো না৷ কিন্তু এখন সবাই যখন বেচছে, তখন তারাও বেচছে৷ আবার বললেই তারা বেচা বন্ধ করবে৷
স্বদেশের জন্য সংগ্রামে সু চি'কে ব্যক্তিগতভাবে উচ্চ মূল্য দিতে হয়েছে৷ ১৯৯৯ সালে তাঁর স্বামী যখন ব্রিটেনে ক্যানসারে মারা যাচ্ছেন, তখনও সেই মরণাপন্নকে দেশে ফেরার ভিসা দেওয়া হয়নি৷ ছবির কাহিনি অবশ্য শুরু হচ্ছে ১৯৮৮ সালে, সু চি যখন মিয়ানমারে ফেরেন৷ এর পরে আসছে ১৯৯০ সালে তাঁর ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি দলের নির্বাচনী জয়, যদিও সামরিক শাসকরা সেটা স্রেফ উপেক্ষা করে এবং সু চি'কে পরবর্তী ২০ বছরের একটা বড় অংশ গৃহান্তরীণ হয়ে কাটাতে হয়৷
মিশেল ইয়েও মালয়েশিয়ার মেয়ে৷ তিনি নাকি শুটিং'এর সময় মিয়ানমারে গিয়ে সু চির সঙ্গে দেখা করেন এবং ইয়াঙ্গনের কাছে সু চি'র বাড়িতে দু'দিন কাটান৷ কিন্তু ইয়েও যখন গত জুন মাসে আবার মিয়ানমার যাবার চেষ্টা করেন, তখন তাকে বহিষ্কার করা হয়৷ বেসঁ নিজে প্রধানত থাইল্যান্ডে, মিয়ানমার সীমান্তের কাছে শুটিং করেছেন৷ তবে তিনি মিয়ানমারেও গোপনে শুটিং করেছেন, এবং গণতন্ত্র সমর্থক আন্দেলনকারীদের তোলা ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করেছেন৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই