মৃত্যুর মুখে শরণার্থীরা?
১৮ জুলাই ২০১৮সমুদ্র থেকে উদ্ধারকারী স্পেনের সংস্থা প্রোঅ্যাক্টিভা ওপেন আর্মস মঙ্গলবার জানিয়েছে, লিবিয়া সমুদ্র উপকূল থেকে ৮০ নটিক্যাল মাইল দূরে একটি বিধ্বস্ত রাবার বোট থেকে একজন জীবিত নারীকে উদ্ধার করা গেছে৷ এছাড়া তারা আরো এক নারী ও প্রায় পাঁচ বছর বয়সি এক শিশুকে মৃত অবস্থায় পেয়েছে৷
সংস্থাটি সামাজিক গণমাধ্যমে বিধ্বস্ত নৌকাটির ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে৷ এমনকি সেখান দিয়ে যাওয়া একটি বাণিজ্যিক জাহাজের ছবিও দিয়েছে তারা এবং অভিযোগ করেছে, জাহাজটি শরণার্থীদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি৷
টুইটারে সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা অস্কার ক্যাম্পস অভিযোগ করে বলেন, লিবিয়ান নৌকাটি ধ্বংস করেছে এবং এই তিনজনকে সেখানে মৃত্যুর মুখে ফেলে রেখেছে৷
কিন্তু লিবিয়ান কোস্ট গার্ড তা অস্বীকার করে দাবি করেছে, তারা ত্রিপোলির পূর্ব উপকূলে একটি রাবার বোট থেকে ১৬৫ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে, যাদের মধ্যে ছিলেন ৩৪ জন নারী ও ১২ শিশু৷ তাদের দাবি সেই বোটে তারা কাউকে ফেলে আসেনি৷
‘‘সমুদ্রে এ ধরনের যত দুর্যোগ হচ্ছে, তার দায় মানবপাচারকারীদের, যারা পয়সা ছাড়া আর কিছু চিন্তা করে না এবং সেসব এনজিও'র, যারা অত্যন্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে৷'' কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র আইয়ুব গাসিম বলেন৷
সাম্প্রতিক সময়ে এসব উদ্ধারকারী এনজিও জাহাজগুলোর প্রতি ক্ষোভ ঝাড়ছে অনেক দেশ৷ বিশেষ করে ইটালি ও মাল্টা বলেই দিয়েছে যে,তাদের বন্দরে এমন জাহাজ ভেড়ানো যাবে না৷
মঙ্গলবার ইটালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাটেও সালভিনির দিকেও আঙুন তুলেছেন ক্যাম্পস৷ সালভিনি এর জবাবে বলেছেন, ‘‘কয়েকটি বিদেশি এনজিও'র মিথ্যাচার প্রমাণ করে যে, আমরা ঠিক কাজটি করছি৷''
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর হিসেব বলছে, ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে এ বছর এই পর্যন্ত ভূ-মধ্যসাগরেই মারা গেছেন ১ হাজার ৪শ' ৪০ জন শরণার্থী৷
জেডএ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)