তীর পাচ্ছে না শরণার্থীদের জাহাজ
২৬ জুন ২০১৮স্পেনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়কমন্ত্রী হোসে লুইস আবালোস সোমবার বলেছেন যে, ২৩০ জন অভিবাসী বহনকারী একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার জাহাজটি তীরে ভিড়তে দেবে না তাঁর দেশ৷ কেননা, ‘‘স্পেন গোটা ইউরোপের জন্য সমুদ্র উদ্ধার সংস্থায় পরিনত হতে পারে না৷''
ইটালি এবং মাল্টা জার্মান উন্নয়নসংস্থার উদ্ধার জাহাজটি ভীড়তে না দেয়ার পর এই মন্তব্য করেন স্পেনের উন্নয়নমন্ত্রী৷ ইতোমধ্যে অবশ্য একাধিক জার্মান আইনপ্রণেতা জাহাজটি পরিদর্শন করেছেন৷ তাঁদের ভাষ্য হচ্ছে, জাহাজে অবস্থানরতরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন৷ এবং আবহাওয়া খারাপ হলে সেখানে মানবিক জরুরি পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে৷
লাইফলাইনের সঙ্গে যা হচ্ছে:
- ইটালি বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির বন্দরগুলোতে লাইফলাইন জাহাজটি প্রবেশে বাধা দিয়েছে
- মাল্টাও জানিয়েছে জাহাজটির কোনো দায় নেবে না
- স্পেন অবশ্য প্রথমে আকুরিয়াস নামের আরেকটি শরণার্থীবাহী জাহাজ মাল্টা ও ইটালি ভিড়তে না দেয়ায় ভিড়তে দিয়েছিল৷ কিন্তু এবার তারাও আরশরণার্থীবাহী জাহাজ ভিড়তে দিতে চায় না
- ১০৮ জন অভিবাসীবাহী ডেনিশ কার্গো শিপ আলেক্সান্ডার মার্স্ক শনিবার থেকে সিসিলিতে অবস্থানের পর তীরে ভেড়ার অনুমতি পেয়েছে৷ ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরা থেকে অভিবাসীদের উদ্ধারকারী বেসরকারী উন্নয়নসংস্থাগুলোর জাহাজ ভিড়তে না দেয়ার মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো কার্যত এক জটিল সমস্যার বহিপ্রকাশ ঘটাচ্ছে৷ সংঘাত বা দারিদ্র্যতার কবল থেকে মুক্তি পেতে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশে আগ্রহী এসব মানুষকেআশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলো যে ক্রমশ আগ্রহ হারাচ্ছে, তা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে৷
এক্ষেত্রে ডাবলিন রেগ্যুলেশন নামের এক আইনকেও দূষছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এই বিধি অনুযায়ী, একজন শরণার্থী প্রথমে ইউরোপের যে দেশে পা রাখবেন, সেই দেশেই তিনি আশ্রয়ের আবেদন করবেন৷ ফলে ভৌগোলিক কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইটালিসহ ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোকে শরণার্থীর চাপ বেশি সহ্য করতে হয়েছে৷ এমন পরিস্থিতির পরিবর্তনে অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন চেষ্টা চালাচ্ছে৷
এআই/এসিবি (ডিপিএ, ইপিডি)