1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইটালিতে অভিবাসীদের নিয়ে সমস্যার মাঝেও একটি সাফল্য

১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯

ভূ-মধ্যসাগরে তিন সপ্তাহ ভেসে বেড়ানোর পর ৭৩ জন আফ্রিকান অভিবাসীর মৃত্যু অভিবাসনের উপর ইটালির কড়াকড়ি আরোপের বিষয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে৷ বিষয়টি একদিকে বার্লুসকোনির জোট সরকারের মধ্যেই ফাটল সৃষ্টি করেছে৷

https://p.dw.com/p/JkQp
লাম্পেডুসা দ্বীপে আফ্রিকান অভিবাসীদের করুণ দশা (ফাইল ছবি)ছবি: AP

অন্যদিকে, রোম এবং ব্রাসেলসের মধ্যে সম্পর্কেও জন্ম দিয়েছে টানা-পোড়েনের৷ আফ্রিকা থেকে পাড়ি জমানো অভিবাসীদের জন্য ইউরোপের প্রবেশ দ্বার হচ্ছে ইটালি৷ তাই বিশেষ করে অভিবাসন মৌসুমে ভূ-মধ্যসাগরে এসব অভিবাসীদের করুণ ভোগান্তি নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়৷ তবে প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি অভিবাসন আইনের ব্যাপারে আরো কড়াকড়ি আরোপ করায় পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন ঘটে৷

ইটালির দ্বীপ লাম্পেডুসায় আশ্রয় নেওয়া ৫ অভিবাসী জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে তারা মোট ৭৮ জন নৌকাযোগে যাত্রা করেছিল৷ তারা বলছে, অসহায় অবস্থায় উদ্ধারের জন্য তাদের আর্তনাদ সত্ত্বেও কেউ এগিয়ে আসেনি৷ এমনকি প্রায় এক ডজন মাছ ধরা নৌকা তাদের পাশ দিয়ে গেলেও একটি নৌকার মাঝিরা কিছু খাবার ছুঁড়ে দিয়েছিল মাত্র৷ কিন্তু তাদের নৌকায় আশ্রয় দেয়নি৷ জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা - ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র লরা বোল্ড্রিনি বলেন, ‘আগে এসব ডুবন্ত অভিবাসীদের জীবন বাঁচাতে মাঝিরা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতো৷ কিন্তু ইটালির নতুন আইনে অভিবাসনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করায় মাঝিরা এখন ভয়ে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসে না৷ ভূ-মধ্যসাগর এখন মানুষের জন্য নিষিদ্ধ এলাকায় পরিণত হয়েছে৷'

Lampedusa Immigranten Flüchtlinge
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই অথৈ সাগরে ভেসে বেড়ায় অভিবাসীরাছবি: AP

অবশ্য, অভিবাসনের বিষয়ে ইটালির এই কড়াকড়ির পেছনে বার্লুসকোনির জোট সরকারের অন্যতম শরিক চরম ডানপন্থি নর্দার্ন লিগের ভূমিকাই বেশি রয়েছে৷ এছাড়া ইটালির নাগরিকদের অধিকাংশই সেখানে গণ অভিবাসন এবং এর ফলে অপরাধ বৃদ্ধির কারণে ক্ষুদ্ধ৷ তবে, গত মাসে বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান থেকে আসা অভিবাসীদের সন্তানদের নিয়ে তৈরি ইটালীয় দলের সাফল্য অভিবাসীদের প্রতি কিছুটা ইতিবাচক মনোভাব এনে দিয়েছে৷ দলটি অনূর্ধ ১৫ ইউরোপীয় ক্রিকেটে প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলে এই খবর প্রায় সব পত্রিকায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থান পায়৷ এমনকি ইটালীয় সংসদের স্পিকার জিয়াঁফ্রাংকো ফিনিসহ বেশ কিছু রাজনীতিকেরও প্রশংসা কুড়ায়৷

ইটালীয় ক্রিকেট ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট সিমোন গামবিনো মন্তব্য করেন, ইটালির ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই প্রথম কোন ইউরোপীয় শিরোপা জয়৷ তিনি বলেন, এর ফলে দেখা যাচ্ছে যে, অভিবাসীরা শুধুই সমস্যা তা নয় বরং তারা আমাদের দেশের জন্য সম্মানও বয়ে আনে৷ অবশ্য, ইটালির নাগরিকত্ব না থাকায় ঐ দল থেকে বিতাড়িত হয়েছিল বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়৷ তবে তাদের এই সাফল্যকে তারা উৎসর্গ করেছিল অভিবাসন বিরোধী দল নর্দার্ন লিগের প্রধান উমবার্তো বসির জন্য৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়