এখনো সামান্যই পেয়েছে বাংলাদেশ
৪ ডিসেম্বর ২০১৭বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মিয়া সেপ্পো৷ বাংলাদেশে জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর সেপ্পো এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘(রোহিঙ্গাদের জন্য) মানবিক সহায়তাদানকারীরা বলতে গেলে ২৪ ঘণ্টাই কাজ করে চলেছেন৷ কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রয়োজনটা ব্যাপক এবং জরুরি, অথচ প্রয়োজন এবং প্রাপ্তির ব্যাবধান অনেক৷ আরো তহবিল দরকার৷''
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে ব্যাপক হারে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে৷ সেই থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৬ লক্ষ ২০ হাজার রোহিঙ্গাকক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে৷ গত কয়েক দশকের বিভিন্ন সময়ে এসে অবস্থান নেয়াদের সঙ্গে এই ৬ লক্ষ ২০ হাজার যোগ হওয়ায় কক্সবাজার এলাকায় মোট রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ ৩০ হাজার৷
সোমবার ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ তাতে জানানো হয়, দশটি শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ ৪৩৪ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা চাইলেও এ পর্যন্তা তার মাত্র ৩৪ শতাংশ পাওয়া গেছে৷
এর ফলে ১০টি শিবিরে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের৷ অনেক শিবিরেই পর্যাপ্ত শৌচাগার এবং স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা নেই৷
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হচ্ছে বলে রোহিঙ্গাদের মাঝে নানা রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিতে পারে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷ সেখানে আরো জানানো হয়, কক্সবাজার এলাকায় ৮ লাখ ৩০ হাজার মানুষের সাময়িক আবাসনের ব্যবস্থা করার মতো ভূমি নেই৷ এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে অসংখ্য মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলেও আইএসসিজি-র আশঙ্কা৷
এসিবি/ডিজি (ইউএনবি, দ্য ডেইলি স্টার)