1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়াই সংকটের সমাধান’

৪ নভেম্বর ২০১৭

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়াই রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান৷ আর জাতিগত নিধনের যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চায় দেশটি৷

https://p.dw.com/p/2n28T
US official: Rohingya sollten sicher zurück nach Myanmar kommen
ছবি: U.S. Embassy Dhaka

শনিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী সাইমন হেনশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট৷ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটও উপস্থিত ছিলেন৷ মার্কিন মন্ত্রী মিয়ানমার সফরের পর বাংলাদেশে আসেন৷ তিনি একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ বাংলাদেশে তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন৷

সাইমন হেনশ বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের নাগরিকদের উদারতা এবং মানবিকতার প্রশংসা করি আমি৷ তারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন৷ রোহিঙ্গারা জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে৷ এবং ২৫ আগস্টের পর থেকে ছয় লাখের মত রোহিঙ্গা নারী শিশু ও পুরুষ বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়েছে৷ এটা একটি বড় মানবিক সংকট৷''

তাঁর মতে এই সংকটের সমাধান হতে পারে শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার মধ্য দিয়েই৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি দ্রুত রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার আহ্বান জানিয়েছি৷ তারা যাতে সেখানে ফেরত গিয়ে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে৷''

বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে দেরী করছে মিয়ানমারের এমন দাবী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ফেরত নেয়ার কাজটি মিয়ানমারকেই করতে হবে৷ এটা তাদেরই কাজ৷ কত দ্রুত তারা ফেরত নিতে পারে সেটা তাদের বিষয়৷ বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় দিয়েছে৷ আর এখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ত্রাণ সহায়তা চালাচ্ছে৷ তাই বাংলাদেশ বিদেশি সহায়তার আশায় রোহিঙ্গাদের ফেরত দিতে দেরি করছে এমন কথা মানা যায়না৷''

মার্কিন মন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে যে আলোচনা শুরু করেছে সেটা চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ৷ এই আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান আসবে৷ এই সংকটটি একটি জটিল এবং এর দীর্ঘ ইতিহাস আছে৷''

মিয়ানমারের ওপর আরো কোনো কঠোর অবরোধ যুক্তরাষ্ট্র আরোপ করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা মিয়ানমারকে বলেছি যারা বা যেসব ব্যক্তি জাতিগত নিধনের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে৷ যেসব ব্যক্তি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি৷ মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে৷ আমরা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছি৷ কূটনীতিক তৎপরতা চালাচ্ছি৷ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও কাজ করছি৷''

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন মিয়ানমারে যাচ্ছেন, বাংলাদেশে আসবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট বলেন, ‘‘সংকটের যেখানে শুরু সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে যাচ্ছেন৷ আমি ঢাকায় আসার আগে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছি৷ তিনি আমাকে বলেছেন রোহিঙ্গা সংকটকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র৷''

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র এপর্যন্ত ১০৪ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বলেও জানান তিনি৷