1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে উপনির্বাচনে অংশ নেবেন সু চি

১৮ নভেম্বর ২০১১

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি আসন্ন সংসদ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন৷ একইসঙ্গে তাঁর দলও পুনরায় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে যাচ্ছে৷ আন্তর্জাতিক সমাজ এই খবরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে৷

https://p.dw.com/p/13Cw0
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিছবি: DW

মিয়ানমারের গণতন্ত্রের মানসকন্যা অং সান সু চি৷ তাঁর গণতন্ত্রের দাবিকে ধামাচাপা দিতে দীর্ঘ চেষ্টা চালিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক শাসক গোষ্ঠীরা৷ জীবনের দীর্ঘ সময় তাই গৃহবন্দি ছিলেন সু চি৷ বছরখানেক আগে মুক্তি পান তিনি৷

গত বছর নভেম্বরে মিয়ানমারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)৷ মূলত সু চিকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ায় সেই নির্বাচন বর্জন করে এনএলডি৷ তবে শুক্রবার এক চমকপ্রদ ঘোষণা করলেন অং সান সু চি৷ এনএলডি'র একশ শীর্ষস্থানীয় সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর সু চি সেদেশের আসন্ন উপনির্বাচনে তাঁর দলের অংশ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন৷ এখনও অবশ্য উপনির্বাচনের দিন তারিখ কিছু ঘোষণা করা হয়নি৷ তবে মিয়ানমারের সংসদের ৪৮টি শূন্য আসনে ভবিষ্যতে উপনির্বাচনে অংশ নেবে এনএলডি৷

এক বিবৃতিত সু চি'র দল জানিয়েছে, আমরা সর্বসম্মতভাবে এনএলডিকে পুনরায় রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ এবং আমরা আসন্ন উপনির্বাচনেও অংশ নেব৷

Aung San Suu Kyi fordert Meinungsfreiheit in Myanmar NO FLASH
মিয়ানমারের বর্তমান সরকার অবশ্য সু চি'র দলের প্রতি খানিকটা নমনীয়তা দেখিয়েছে ইতিমধ্যেই...ছবি: AP

বলা বাহুল্য, এনএলডি ১৯৯০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে৷ কিন্তু সেদলকে ক্ষমতা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি৷ এনএলডি নেতা সু চিকেও তখন গৃহবন্দি করে রাখা হয়৷ বছরখানেক আগে মুক্তি পান তিনি৷ এরপর শুরু হয় মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এনএলডি'র নানাবিধ আলোচনা৷

মিয়ানমারের বর্তমান সরকার অবশ্য সু চি'র দলের প্রতি খানিকটা নমনীয়তা প্রদর্শন শুরু করেছে৷ নির্বাচনী আইনের যেসব ধারা সু চির জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল, সেগুলোকে পরিবর্তন করা হয়েছে৷ তিনশোরও বেশি রাজবন্দিকে মু্ক্তিও দিয়েছে সরকার৷ গত আগস্ট মাসে প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন সু চির সঙ্গে একান্তে কথা বলেন, যার সুফল ফলছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা৷

এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনকে আগামী মাসে মিয়ানমার সফরে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে সেদেশ৷ এই ঘোষণার আগে অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সরাসরি সু চি'র সঙ্গে কথা বলেছেন৷ মিয়ানমারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে অগ্রগতির ইঙ্গিত হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন ওবামা৷

উল্লেখ্য, হিলারি ক্লিন্টনের মিয়ানমার সফর হবে গত পঞ্চাশ বছরে সেদেশে কোন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং সাবেক জান্তা সরকারের সদস্যদের অ্যামেরিকা ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল রেখেছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য