মাইকেল জ্যাকসন ঘুমানোর জন্য নিয়মিত প্রোপোফল নিতেন
২৬ অক্টোবর ২০১১সোমবার লস এঞ্জেলসের আদালতে ডা. এ্যালান মেটসগার জানান, ‘কনসার্ট নিয়ে মাইকেল জ্যাকসন খুবই উচ্ছ্বসিত ছিলেন একই সঙ্গে ভীত৷ পঞ্চাশটি কনসার্ট তিনি শেষ করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে তার নিজের মনেই সন্দেহ ছিল৷ মাইকেল জ্যাকসন নিজে আমাকে কথাগুলো বলেছেন৷' ডা. মেটসগার হলেন ডা. কনরাড মারের পক্ষের প্রথম সাক্ষী৷
মাইকেল জ্যাকসন ২০০৯ সালের জুন মাসে প্রোপোফলের ওভারডোজে মারা যান৷ তাঁর চিকিৎসক ডা. কনরাড মারের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হয়৷
ডা. মেটসগার আরো বলেন, ‘মাইকেল জ্যাকসন ধরে নিয়েছিলেন এটা তার দায়িত্ব এবং কর্তব্য৷' মাইকেল জ্যাকসন দীর্ঘদিন ইনসমনিয়ায় ভুগেছেন এবং সেই সময় ডা. মেটসগার জ্যাকসনের চিকিৎসক ছিলেন৷ শেষবারের মত ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে তিনি মাইকেল জ্যাকসনের বাড়িতে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য৷
বিবাদী পক্ষ মাইকেল জ্যাকসনকে একজন মাদকাসক্ত হিসেবে আদালতে তুলে ধরতে চাইছে৷ তারা বলছে যে, মাইকেল জ্যাকসন নিজেই এসব মাদকে আসক্ত ছিলেন এবং নিজেই প্রোপোফল ইঞ্জেকশন নিয়েছেন৷
ডা. মেটসগার জানান, ৫০ বছর বয়স্ক গায়ক ঘুমের এই তীব্র এ্যানেস্থেশিয়াকে ‘জুস' বলতেন৷ সারাক্ষণই জ্যাকসন জুস চাইতেন, অনুরোধ করে চলতেন৷ এবং এই প্রোপোফল সবসময় ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে নিতে হয়৷ পানির সঙ্গে সেবন করা যায় এরকম কোন ওষুধে জ্যাকসন আগ্রহী ছিলেন না৷ কিন্তু ডা. মেটসগার কখনোই জ্যাকসনকে প্রোপোফল দেননি৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন