1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভুল স্বীকার করলেন জার্মান প্রেসিডেন্ট - তবে পদত্যাগ নয়

৫ জানুয়ারি ২০১২

বাড়ি কেনার জন্য নেয়া ব্যক্তিগত ঋণের খবর প্রকাশ না করার জন্য একটি পত্রিকার প্রধান সম্পাদককে হুমকি দেয়ার কারণে প্রবল চাপের মুখে ছিলেন জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ৷ চাপ কমাতে জার্মান টেলিভিশনে বক্তব্য রাখলেন৷

https://p.dw.com/p/13eyF
জার্মান প্রেসিডেন্ট এবং ‘বিল্ড’ সম্পাদক অতীতে ঘনিষ্ঠই ছিলেনছবি: picture-alliance/dpa

ভুল্ফ জানিয়ে দিলেন, কিছু ভুল তিনি করেছেন৷ তবে পদত্যাগ তিনি করছেননা৷ পদত্যাগটা এড়ানো গেছে৷ বিশ্বাসযোগ্যতা কি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে? প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ তাঁর টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে দুটোই করতে চেয়েছেন৷ হ্যাঁ, প্রথমটিতে তিনি আপাতত সফল হয়েছেন৷ কিন্তু বিশ্বাসযোগ্যতা আবার ফিরিয়ে আনার কাজটা তাঁর জন্য দূরূহ হবে৷ জার্মান প্রেসিডেন্টের প্রতি সমর্থনের পাল্লাটা হালকা হচ্ছে৷ আর সেই কারণেই তিনি টেলিভিশনের একেবারে প্রাইম টাইমে জনসাধারণের ব্যাপক অংশের কাছে বক্তব্য রেখেছেন৷ তাঁর ভুল তিনি স্বীকার করেছেন৷ ঋণের ঘটনাটির মোকাবিলা করেছেন তিনি যেভাবে, সেটা তাঁর পদমর্যাদার অনুবর্তী হয়নি৷ সাংবাদিকদের টেলিফোনে হুমকি দেয়ার ব্যাপারটাও তাঁর পদমর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়নি, বলেছেন তিনি৷ তবে প্রেসিডেন্ট একথাও জানিয়ে দেন যে, লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় অর্থনীতি মহলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগ এবং তাদের খরচে ছুটি কাটানোর মধ্য দিয়ে তিনি কোন আইন ভঙ্গ করেননি বা তাদের বিশেষ সুবিধাও দেননি৷ ভুল তাঁর হয়েছে এবং ভুল হয় মানুষেরই, বলেছেন প্রেসিডেন্ট ভুল্ফ৷ এই মূল্যায়নে অবশ্য নতুন তেমন কিছু নেই৷

Screenshot der Seite www.bild.de Wulff Anruf Bild
আজ ‘বিল্ড’ ভুল্ফ’এর বিরুদ্ধে সোচ্চারছবি: bild.de

বিশ মিনিট ধরে দুই সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দেন জার্মান প্রেসিডেন্ট ভুল্ফ টেলিভিশনে৷ কিন্তু তারপরেও সুস্পষ্ট উত্তর পেতে হাতড়ে বেড়াতে হয়৷ প্রেসিডেন্টের পদমর্যাদার আরো ক্ষতি এড়ানোর মত যোগ্যতা কি ভুল্ফের আছে? রাষ্ট্রের শীর্ষতম পদটি নিয়ে নাগরিকদের যে প্রত্যাশা, সেই একই প্রত্যাশা কি তাঁর নিজেরও? তা নিয়ে কিন্তু সংশয় জাগে৷ এমনকি যাঁরা চান যে তিনি তাঁর পদে থাকুন, তাঁরাও তাঁর কাছ থেকে আর একটু বেশি আত্মসমালোচনা আশা করেছিলেন৷ কেননা তিনিই তো প্রকাশ্যে বলেছিলেন: ‘‘দেশের এলিট সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হতে চান যিনি, তাঁকে অবশ্যই মডেল হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব নিতে হবে - কোন রকম কিন্তু ছাড়া৷''

দেশের সর্বোচ্চ পদটি সচল থাকে সেই পদাধিকারীর অখণ্ডতা আর বিশ্বাসযোগ্যতার মধ্য দিয়ে৷ সেই লক্ষ্যে প্রেসিডডেন্ট ভুল্ফকে আরো কাজ করে যেতে হবে৷

প্রতিবেদন: উটে শেফার/আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য