1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভিডিও কনফারেন্সে দেখা গেল সু চি-কে

২ মার্চ ২০২১

গ্রেপ্তার হওয়ার পরে এই প্রথম দেখা গেল সু চি-কে। তার শরীর ভালো আছে। সোমবারেও মিয়ানমার জুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গণতন্ত্রপন্থিরা।

https://p.dw.com/p/3q59w
সু চি
ছবি: AP Photo/picture alliance

প্রায় এক মাস পরে তাকে দেখতে পাওয়া গেল। তবে ভিডিও কনফারেন্সে। ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সেনা গ্রেপ্তার করেছিল অং সান সু চিকে। তারপর থেকে সু চির আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার আদালতে তার শুনানি ছিল। সেখানে ভিডিও কনফারেন্সে সু চিকে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, নেত্রীর শরীর ঠিক আছে। তার উপর অত্যাচারের কোনো বিষয় সু চি জানাননি। তবে এ দিন আদালতে তার বিরুদ্ধে আরো দুইটি নতুন অভিযোগ করা হয়েছে। কবে তিনি মুক্তি পেতে পারেন, সে বিষয়েও এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই সুচি-র নেতৃত্বে গঠিত মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দেশের সেনা। বিনা রক্তপাতে তারা ক্ষমতা দখল করে। সু চি সহ একাধিক মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে সেনা কিছু জানায়নি। সোমবার জানা গেছে, সু চিকে নেপিদতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে দীর্ঘ সেনা শাসনকালে এই শহরটিকেই রাজধানী হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। এখনো এই শহরে সেনার প্রভাব বেশি। গোটা শহরটিকে কার্যত ঘিরে রেখেছে সেনা।

সু চির বিরুদ্ধে আরও দুটি অভিযোগ গঠন

আগে সু চি-র বিরুদ্ধে দুইটি বিষয়ে মামলা করা হয়েছিল। আইন ভেঙে ওয়াকিটকি বিদেশে রপ্তানি করেছেন তিনি। এবং দুই, করোনাকালে দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের আইন ভেঙেছেন তিনি। সোমবার তার বিরুদ্ধে আরো দুইটি নতুন ধারায় মামলা করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি কার্যত দেশদ্রোহের সামিল। বলা হয়েছে, তিনি এমন লেখা প্রচার করেছেন, যা দেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষে চিন্তাজনক।

এদিকে রোববারের পর সোমবারেও মিয়ানমারে গোটা দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গণতন্ত্রপন্থিরা। এদিনও সেনা আন্দোলনকারীদের দমন করতে গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। বহু মানুষকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। রোববার সেনার গুলিতে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রায় এক হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারই জেরে সোমবার বিক্ষোভ আরো জোরদার হয়। এদিন কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তা অবশ্য জানা যায়নি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)