ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ‘বাংলাড্রোন’
২৬ জানুয়ারি ২০১৪
ডিএমপির মাঠে খোলা আকাশে চালকবিহীন ড্রোনের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন হয় বুধবার বিকেলে৷ ড্রোনটি ১০ মিনিট আকাশে ওড়ে৷ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি চালিত এই ড্রোন ৫০০ ফুট ওপরে উড্ডয়নে সক্ষম হয়৷
বাংলাদেশের তরুণ কয়েকজন প্রকৌশলীর প্রতিষ্ঠান অ্যারো রিচার্স সেন্টার ছোট আকারের এই ড্রোন তৈরি করেছে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে৷ তারা এর নাম দিয়েছে ‘বাংলাড্রোন'৷
এছাড়া ঘুড়ি-১ এবং ঘুড়ি-২ নামে আরো দুটি ড্রোন বানিয়েছে তারা৷ অ্যারো রিচার্স সেন্টার-এর প্রকৌশলী খায়রুজ্জামান বিপ্লব জানান, তাদের তৈরি করা ড্রোন একটানা ২৫ মিনিট উড়তে পারে৷ উঠতে পারে ৫০০ ফুট ওপরে, ঘণ্টায় গতিবেগ যার ৪০ কি.মি.৷ তাদের ড্রোনের ওজন ৭.৬ কিলোগ্রাম আর এর সর্বোচ্চ পরিবহন ক্ষমতা ১০ কিলোগ্রাম ওজনের জিনিস৷ তবে তিনি জানান, তাদের ১.৬ কিলোগ্রাম ওজনের হাল্কা ড্রোনও আছে, যার বহন ক্ষমতা ১ কিলোগ্রামের কিছু বেশি৷ এ সব ড্রোন তৈরিতে সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা খরচ পড়ছে৷
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, এ সব ড্রোন দিয়ে ছবি তোলা, স্থান চিহ্নিত করা, লাইভ ছবি নেয়া এবং টার্গেট অনুযায়ী কিছু ফেলা সম্ভব৷ বিশেষ করে, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং অপরাধ দমনে এই ড্রোন বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে৷ এছাড়া নজরদারির ক্ষেত্রে এই ড্রোন কাজে আসবে৷ তিনি জানান, পুলিশের ব্যবহার উপযোগী করতে তারা আরো কিছু ‘ফিচার' সংযুক্ত করতে বলেছেন এই ড্রোনে৷ একই সঙ্গে আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব এবং বাজেট পর্যালোচনা করা হচ্ছে৷ সব কিছু মিলে গেলে ডিএমপিতে সংযুক্ত হবে এই ‘বাংলাড্রোন'৷