ভারতের কাছে ড্রোনের ব্যাখ্যা
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩বাংলাদেশে ও পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ড্রোন মোতায়েন করবে, এই খবর ভারতের একটি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয় সোমবার৷ আর এর কর্মপদ্ধতি খসড়া নিয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সঙ্গে বিএসএফ বৈঠকও করেছে বলে পত্রিকাটি খবর দিয়েছে৷
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই ভারতের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছে৷ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা৷ তিনি জানান, যতদূর জানা গেছে, তাতে সীমান্তের ১০-১২ হাজার ফুট ওপর থেকে ঐ বিমান সীমান্তের যে কোনো স্থানে অনুপ্রবেশকারীর গতিবিধি সংক্রান্ত ছবি তুলবে এবং তথ্য পাঠাবে৷ তবে ভারতের ব্যাখ্যা পাওয়ার পরই বাংলাদেশ এ ব্যাপারে তার অবস্থান জানাবে৷
এদিকে বাংলাদেশে ইন্সটিটিউট অফ পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ বা বিআইপিএসএস-এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মুনীরুজ্জামান (অব.) ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের ড্রোন বিমান মোতায়েনের তেমন কোনো যুক্তি নেই৷ বরং এটা মোতায়েন করা হলে আস্থার সংকট বাড়বে৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের মোট সীমান্ত প্রায় ৪,০০০ কি.মি.৷ এর প্রায় ৩,০০০ কি.মি এলাকায় ভারত এরই মধ্যে কাঁটাতারে বেড়া দিয়েছে৷ সীমান্তে ফ্লাড লাইট লাগানোর ব্যবস্থা চূড়ান্ত হয়েছে৷ প্রক্রিয়া চলছে কাঁটাতারের বেড়া বিদ্যুতায়িত করার৷ তারপরও আর কত নজরদারি প্রয়োজন?'' তাঁর মতে, সীমান্তপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে চোরাচালানকারীর মাধ্যমে গরু আর মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল আসে৷ তা খালি চোখেই দেখা যায়৷ এ জন্য ড্রোনের প্রয়োজন নেই৷
মুনীরুজাজামান জানান, তবুও ভারতের ব্যাখ্যা জরুরি৷ কারণ ঢাকা এখনো জানেনা তারা সার্ভেইলেন্স না লিথাল ড্রোন মোতায়েন করতে চায়৷ লিথাল ড্রোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারে৷ আর সার্ভেইলেন্স ড্রোন নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হয়৷ তা থেকে ছবি ও তথ্য পাওয়ায় যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘লিথাল ড্রোন তো নয়ই, সার্ভেইলেন্স ড্রোনও গ্রহণযোগ্য নয়৷ কারণ বাংলাদেশ ভারতের সীমান্ত সমতল৷ এখানে তেমন কোনো দুর্গম পাহাড় পর্বত নেই৷ তাই সমতলভুমির সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের কোন যুক্তি নেই৷'' তাঁর মতে, এই ড্রোন দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে৷