1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রেসিডেন্ট ভোট শেষ হতেই বেলারুশে বিক্ষোভ

১০ আগস্ট ২০২০

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হতেই বেলারুশের একাধিক শহরে শুরু হয়ে গেল প্রতিবাদ। বিরোধীদের দাবি, ভোটে কারচুপি হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3ghco
ছবি: Reuters/V. Fedosenko

এক্সিট পোল বলছে, আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বেলারুশে ষষ্ঠবারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছেন। তিনি পেতে পারেন প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট। আর তাঁর প্রধান বিরোধী শ্বেতলানা টিখানোভস্কায়া পেতে পারেন সাত শতাংশেরও কম ভোট। এরপরই বিরোধীরা দাবি করেন, ভোটে কারচুপি হয়েছে। রোববার রাত থেকে লোকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাজধানী মিনস্কে প্রচুর বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমেছেন। তাঁদের মুখে স্লোগান। গাড়ির হর্ন বাজছে, সাইরেন বাজছে। কয়েকশ দাঙ্গাবিরোধী পুলিশ হাতে ঢাল নিয়ে দঁড়িয়ে আছে। কিছু বিক্ষোভকারী ময়লা ফেলার গাড়ি দাঁড় করিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করেছিল। পুলিশ তখন জলকামান ছোড়ে, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়।

অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রোববার রাত থেকে পুলিশ শহরে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করছে। কতজনকে ধরা হয়েছে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। ভিয়াসনা মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত অ্যালেস সংবাদসংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, ''কয়েকশ লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়োকশ লোক আহত হয়েছেন। পুলিশ বিক্ষোভ থামাতে প্রবল বলপ্রয়োগ করছে।''  

Weißrussland Minsk | Präsident Alexander Lukaschenko hält eine Rede
প্রসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোছবি: picture-alliance/dpa/BelTA/N. Petrov

বিতর্কিত নির্বাচন

বিরোধী নেত্রী শ্বেতলানা জানিয়েছেন, তিনি এক্সিট পোলের ফল বিশ্বাস করেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন তাঁর দিকে আছে। শ্বেতলানা শিক্ষকতা করেন। তাঁর স্বামী সরকার-বিরোধী ব্লগার। কিন্তু সরকার তাঁকে জেলে পুরে দেওয়ায় তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেননি। তখন শ্বেতলানা দাঁড়ান। তাঁর জনসভায় প্রচুর লোক হয়েছে। বস্তুত, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে বেলারুশে কোনো জনসভায় এত লোক হয়নি।

শ্বেতলানার সমর্থক ভেরোনিকা বলেছেন, ''আমার ধারণা, আইনের রক্ষকরা জনতার দাবি মানবেন। তাহলেই রক্তপাত ছাড়া মিনস্কে শান্তি ফিরবে।'' ভেরোনিকার স্বামীও ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। তারপর ভেরোনিকারা শ্বেতলানাকে সমর্থন করছেন।

কিন্তু রাশিয়ার প্রবীণ এমপি এবং স্টেট ডুমা কমিটির চেয়ারম্যান লিওনিড স্লাটস্কি বলেছেন, বেলারুশের অবস্থা ২০১৪ সালের ইউক্রেনের মতো হতে পারে। যেখানে রুশপন্থী প্রেসিডেন্টকে লোকে রক্তাক্ত বিপ্লবের মাধ্যমে উৎখাত করেছিল। তাঁর মতে, বেলারুশের লোকেরা তাঁদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে সক্ষম। বিদেশি শক্তি যেন এখানে হস্তক্ষেপ না করে।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোকে বলা হয় 'ইউরোপের শেষ ডিক্টেটর'। তিনি ১৯৯৪ থেকে কড়া হাতে বেলারুশ শাসন করছেন। তিনি দাবি করেন, তিনি থাকলে বেলারুশে সরকারের স্থায়িত্ব থাকবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে লোকের ক্ষোভ বেড়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলি জানিয়েছে, ভোটের আগে এক হাজার ৩০০ জনকে

আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষকরাও আছেন। ঠিক সময়ে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় ইউরোপের অর্গানাইজেশন অফ সিকিউরিটি অ্যান্ড কোয়াপরেশনের প্রতিনিধিরা ভোট পর্যবেক্ষণ করতে পারেননি।

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এএফপি, এপি, ডিপিএ)