প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম কিনবে জার্মানি
২৫ এপ্রিল ২০১৮জার্মান সামরিক বাহিনীর সাজসরঞ্জাম মান্ধাতার আমলের– এই সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন কেনা প্রয়োজন এমন সরঞ্জামের লম্বা এক তালিকা সরকারের কাছে পেশ করেছেন৷
জার্মানির দু'টি সংবাদপত্র ফন ডেয়ার লাইয়েনের সেই ফর্দের কপি সংগ্রহ করেছে৷ দৃশ্যত ফন ডেয়ার লাইয়েন ১৮টি পৃথক পৃথক আইটেমের জন্য ৪৫ কোটি ইউরো বরাদ্দের অনুরোধ করেছেন৷বুন্ডেসভের শীঘ্রইজার্মান সংসদের কাছে এই তালিকা পেশ করবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন৷
‘‘জার্মান সামরিক বাহিনীর সাজসরঞ্জাম সংক্রান্ত পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবেবলে আমরা আশা করছি'' বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলগার নয়মান সোমবার একটি সরকারি সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন৷
প্রার্থিত বরাদ্দের একাংশ যাবে জার্মানির পুমা ট্যাংকগুলির আধুনিকীকরণে ও এনএইচ৯০ হেলিকপ্টারগুলির রক্ষণাবেক্ষণে৷ এছাড়া ইসরায়েলের ‘হেরন টিপি' ড্রোনের একাধিক নমুনা নয় বছরের জন্য লিজ করা হবে৷ এই ড্রোনগুলিতে সমরাস্ত্র বহণ করতে পারে৷ গোটা লিজে খরচ পড়বে প্রায় ১০০ কোটি ইউরো৷
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
গত মার্চ মাসে রক্ষণশীল সিডিইউ-সিএসইউ ও সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের মধ্যে জোট সরকার গঠন সম্পর্কে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাতে নির্দিষ্ট করা আছে যে, ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা ইউনিয়নের আঙ্গিকে একটি ইউরোপীয় ড্রোন সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত মধ্যকালীন সমাধান হিসেবে ইসরায়েলি ড্রোন লিজ করা যাবে৷
জোট সরকার গঠন সংক্রান্ত চুক্তিতে জার্মান সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণের জন্য ১,০০০ কোটি ইউরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা রাখা হয়েছে৷ তবে ঐ অর্থ পর্যাপ্ত হবে বলে ফন ডেয়ার লাইয়েন মনে করেন না৷ তাঁর সাম্প্রতিক বরাদ্দের আবেদন ২০১৮ সালের সরকারি বাজেট পেশ করার সময় অনুমোদিত হতে হবে৷
এ বছরের গোড়ার দিকে জার্মান সামরিক বাহিনীর একটি অভ্যন্তরীণ মেমো ফাঁস হয়৷ সেই মেমোর ভিত্তিতে সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন ওঠে, বুন্ডেসভের তার বিভিন্ন কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম কিনা – বিরোধীপক্ষ এই পরিস্থিতিকে ‘কেলেংকারি' বলে অভিহিত করে৷
২০১৭ সালে জার্মানি প্রতিরক্ষা খাতে প্রায় ৩,৭০০ কোটি ইউরো ব্যয় করেছে, যা কিনা বিশ্বের নবম বৃহত্তম প্রতিরক্ষা বাজেট৷ ২০১৮ সালে ঐ বাজেট বেড়ে ৩,৯০০ কোটি ইউরো হবার কথা৷ তা সত্ত্বেও ন্যাটো যে তার সদস্য দেশগুলির কাছ থেকে প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির দুই শতাংশ ব্যয় প্রত্যাশা করে থাকে, জার্মান সামরিক বাহিনী তার ধারে-কাছে পৌঁছাতে পারবে না৷
জেফারসন চেজ/এসি